বাল্যবিয়ে: ফরিদপুরে রক্ষা পেল ৪ স্কুলছাত্রী

ফরিদপুরে একদিনে চারটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছে প্রশাসন।

ফরিদপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 June 2018, 03:56 PM
Updated : 20 June 2018, 03:57 PM

বুধবার বোয়ালমারী ও সদরপুর উপজেলায় এ চার ছাত্রীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।

বোয়ালমারীর ইউএনও জাকির হোসেন খান জানান, বাল্যবিয়ে হচ্ছে খবর পেয়ে তিনি উপজেলার গুনবহা গ্রামে বিলকিস মল্লিকের বাড়িতে উপস্থিত হন।

“ওই সময় বাড়ির একটি মেয়ের (১১) সঙ্গে একই গ্রামের শের আলীর (৪৫) বিয়ের আয়োজন চলছিল।”

মেয়েটি গুনবহা স্টার প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাই স্কুলের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী। পরে তিনি বিয়েটি বন্ধ করে দেন বলে ইউএনও জানান।

ইউএনও আরও জানান, অপর ঘটনাটি ঘটে উপজেলার হাসামদিয়া গ্রামে।

“ওই গ্রামে হাসামদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিরিএক ছাত্রীর (১৪) বিয়ের আয়োজন চলছিল।”

বিকালে তিনি সেখানে হাজির হয়ে বাল্যবিয়েটি বন্ধ করে দেন বলে জানান ইউএনও।

অপর ঘটনাটি ঘটে বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কামারহাটি গ্রামে।

ইউএনও জাকির আরও বলেন, বিকালে ওই গ্রামে সাতৈর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণিরিএক ছাত্রীর (১৩) বিয়ের আয়োজন চলছিল।

খবর পেয়ে বিকালে তিনি সেখানে গিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন বলে জানান ইউএনও।

ইউএনও জাকির জানান, সবার পরিবারের কাছ থেকে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবে না মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।

তিনি গত দুই মাসে এ উপজেলার ১০টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছেন বলে জানান।  

আরেকটি ঘটনা ঘটে সদরপুর উপজেলার ভাষানচর ইউনিয়নের ইসমাইল শেখের ডাঙ্গী গ্রামে।

সদরপুর ইউএনও জোবায়ের রহমান রাশেদ জানান, ভাষানচর ইউনিয়নের ইসমাইল শেখের ডাঙ্গী গ্রামে একটি মেয়ের বিয়ের আয়োজন চলছিল। মেয়েটি (১৪) চরভদ্রাসন উপজেলার নয়াডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী।

“মেয়েটির সঙ্গে নগরকান্দা উপজেলার মশালজোন গ্রামের মোসলেমের ছেলে পলাশ হোসেনের (২৮) বিয়ের আয়োজন করা হয় বুধবার বিকালে।”

তিনি জানান, বিয়ের গোপন সংবাদ পেয়ে দুপুর ২টার দিকে কনের বাড়ি গিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেন। এ সময় বর কনের বাড়ি যায়নি। তখন তিনি ফোনে বরপক্ষকে কনের বাড়ি আসতে নিষেধ করে দেন।

পরে তিনি বাল্য বিয়ে দেবে না মর্মে স্থানীয়দের কাছ থেকে মুচলেকা নেন বলে জানান।  

ফরিদপুর জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, “আমরা নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যেকোনো মূল্যে বাল্যবিয়ে হতে দেব না। প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্দেশ দেওয়া আছে যেখানে বাল্য বিয়ে সেখানেই প্রতিরোধ করতে হবে।”