আগাম পানি বাড়তে থাকায় ফরিদপুরে ‘চরের সোনা’ নামে পরিচিত বাদাম এ বছর পরিপক্ব হওয়ার আগেই তুলে ফেলতে হচ্ছে। এতে লোকসানের আশঙ্কায় হতাশায় পড়েছেন বাদাম চাষিরা।
Published : 20 Jun 2018, 01:41 PM
জেলার পদ্মা, মধুমতী ও কুমার নদের চরাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের জীবিকার প্রধান উৎস এই বাদাম।
সদর উপজেলার ডিক্রিরচর গিয়ে দেখা গেছে, পানিতে ডুবে থাকা বাদাম তুলতে ব্যস্ত সবাই। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসার ফুরসত নেই।
এছাড়া ভেজা মাটি ও পানির নিচে থেকে টেনে তোলায় কিছু বাদাম নষ্ট হচ্ছে বলে চাষিরা জানান।
তবে ডিক্রিরচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিন্টু ফকির বলেন, “যারা একটু আগে বীজ বুনেছিলেন তারা পানি আসার আগেই বাদাম ঘরে তুলতে পেরেছেন। আবার যারা অতিখরা কেটে গেলে বৃষ্টির পর বীজ বুনেছিলেন তাদের ফলন ভাল হয়েছে; একটু অপক্ব অবস্থায় তুলে ফেললেও তাদের লোকসান হবে না।”
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কার্ত্তিকচন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, “পানির কারণে কিছুটা সমস্যা হলেও চাষিরা তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।”
জেলায় বর্তমানে অর্ধশতাধিক চরে বাদাম চাষ হয় জানিয়ে তিনি বলেন, চরাঞ্চলে অন্য ফসল ভাল হয় না। সেই বিবেচনায় বাদাম চাষে বিশেষ উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। চলতি মৌসুমে জেলার নয়টি উপজেলার মধ্যে ছয়টি উপজেলায় ৬১২৫ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে।