কুড়িগ্রামে ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ

কুড়িগ্রামে এক ট্রাফিক পুলিশের এসআইয়ের বিরুদ্ধে ঘুষের টাকার জন্য ট্রাক চালককে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

আহসান হাবীব নীলু কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 May 2018, 04:38 PM
Updated : 18 May 2018, 04:40 PM

কুড়িগ্রাম শহরের টিএসআই আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন ট্রাক চালক পলাশ।

পলাশের অভিযোগ, শুক্রবার সকালে কুড়িগ্রাম শহরের ত্রিমোহণী চেকপোস্টে টিএসআই আমিরুল তার ট্রাকটি (চট্টগ্রাম ন ৪২৯৮) আটক করেন। তিনি নাটোর থেকে পাটালি গুড় নিয়ে কুড়িগ্রামে এসেছেন।

পলাশ জানান, ইতিপূর্বে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় ট্রাকটির নামে মামলা হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সেলিম আহমেদের কাছে কাগজপত্র জমা আছে। সেই মামলার স্লিপ তার সঙ্গে ছিল।

পলাশ বলেন, প্রচলিত আইন মোতাবেক কেস স্লিপের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে সর্বোচ্চ জরিমানা ৫শ টাকা; কিন্তু টিএসআই আমিরুল পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন।

“দুই হাজার টাকা দিলেও কেস স্লিপটি রেখে দেন আমিরুল। তিনি বলেন মাল আনলোড করে বাকি তিন হাজার টাকা দিয়ে কেস স্লিপ নিতে হবে।”

পলাশ বলেন, এ অবস্থায় তিনি লোড গাড়ি নিয়ে কুড়িগ্রাম শহরের পুরাতন বাজারে সহিদুলের আড়তে এবং সেখান থেকে উলিপুর উপজেলা শহরে অবস্থিত লক্ষ্মীস্বরের আড়তে পাটালিগুড় আনলোড করে ট্রাক নিয়ে ফিরছিলেন।

পথে উলিপুর চেকপোস্টে সার্জেন্ট বায়েজিদের হাতে আটক হন পলাশ। গাড়ির কাগজপত্র এবং কেস স্লিপ দেখাতে না পারায় সার্জেন্ট বায়েজিদ মামলা দিয়ে ট্রাকটি উলিপুর থানায় নিয়ে যান বলে পলাশ জানান।

পলাশ বলেন, এরপরই তড়িঘড়ি করে তাকে ডেকে নেওয়া হয় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে। সেখানে সাড়ে ৮ হাজার টাকা জরিমানার মামলা নিষ্পত্তি করা হয় মাত্র এক হাজার টাকায়।

এ ব্যাপারে সার্জেন্ট বায়েজিদ বলেন, বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তিনি গাড়িটি আটক করে উলিপুর থানায় জমা দেন। এ ব্যাপারে একটি মামলাও করা হয়। এ জরিমানার পরিমাণ সাড়ে ৮ হাজার টাকা।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ড্রাইভার নীলফামারী পুলিশের কেস স্লিপটি টিএসআই আমিরুলের কাছে জব্দ বলে দাবি করেন। কিন্তু ফোনে যোগাযোগ করলে আমিরুল তা অস্বীকার করায় আমি মামলা দিতে বাধ্য হই।”

এ ব্যাপারে টিএসআই আমিরুল তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কুড়িগ্রাম শহরের ত্রিমোহনী চেকপোস্টে সকালে ট্রাকটি আটক করলে ড্রাইভার পলাশ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।

“পরে তার কাছে থাকা নীলফামারী পুলিশের একটি কেস স্লিপ দেখান। কেস স্লিপটি ড্রাইভার স্বেচ্ছায় আমার কাছে রেখে যান। মালামাল আনলোড করে ফেরার পথে সেটি ফেরৎ নেওয়ার কথা। এটি নিয়ে এত ঘটনা ঘটবে তা আমার জানা ছিল না।”