বিএনপি প্রার্থীকে ভোট দিতে বললেন আ. লীগ নেতা

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকা গোপালঞ্জের কোটালীপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী এক বিএনপি নেতাকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল মোল্লা।

বাবুল পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থী।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “কামাল হোসেন দাড়িয়া বিএনপি করেন জানি।

“কামালকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য আমার এলাকার অভিভাবকরা আমাকে অনুরোধ করেছেন। তাদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে আমি আমার সমর্থকদের কামালকে ভোট দেওয়ার জন্য বলেছি।”

গত শনিবার রাতে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঘাঘরকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক নির্বাচনী সভায় বাবুল তার সমর্থকদের কামালকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।

আগামী ২৯ মার্চ পৌরসভা নির্বাচনে ভোট হওয়ার কথা।

পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন - বাবুল মোল্লা, পৌর বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন দাড়িয়া ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওলিউর রহমান হাওলাদার।

আওয়ামী লীগ নেতার সমর্থন বিষয়ে কামাল হোসেন দাড়িয়া বলেন, “আমাকে সমর্থন দিয়ে বাবুল মোল্লা নির্বাচন থেকে সরে গেছেন। এখন আমার জয়ের পথ সুগম হয়েছে।”

তার রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি কখনও বিএনপি করিনি। আমার প্রতিপক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ওলিউর রহমান হাওলাদার পরাজিত হবেন । তাই আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে ওলিউর রহমান হাওলাদার বিএনপি করেন।”

তবে ওলিউর রহমান বলেন, “২০০৩ সালের কোটালীপাড়া পৌর বিএনপির কমিটিতে কামাল হোসেন দাড়িয়াকে সহ-দপ্তর সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়। এরপর আর কোনো কমিটি না হওয়ায় এবং পদত্যাগ না করায় তিনি এখনও ওই পদে রয়েছেন।

“তৎকালীন জেলা বিএনপির সভাপতি এমএইচ খান মঞ্জু এ কমিটি অনুমোদন করেন। অনুমোদনের পরে দেখিলাম বলে স্বাক্ষর করেন তৎকালীন গোপালগঞ্জ জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার অন্যতম আসামী আব্দুস সালাম পিন্টু।”

বিএনপি নেতাকে আওয়ামী লীগ নেতার সমর্থন দেওয়ার বিষয়ে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, “বাবুল আমাদের আওয়ামী লীগের নেতা।

“কামাল বিএনপির লোক। আমরা শুনেছি বাবুল কামালকে সমর্থন দিয়েছেন। এ বিষয়ে পৌর কমিটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।”