রোববার বিকালে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন ওই রোগীর স্বামী আলী আজম।
আসামি হলেন নগরের ঘোষপাড়ার মা ফাতেমা ক্লিনিকের চিকিৎসক সুলতানা নাজনীন রিতা।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাঘার হরিরামপুরের আজিজুল ইসলামের ছেলে আলী আজমের স্ত্রী আলাপী বেগমকে গত ২৩ ডিসেম্বর মা ফাতেমা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ওইদিনই বিকালে ডা. সুলতানা নাজনীন রিতা সিজারিয়ানের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করান।
ওই নারীর পেটের মধ্যে তিনটি গজ ব্যান্ডেজ রেখেই সেলাই করে দেওয়া হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
রোগীনির স্বামী আলী আজম বলেন, সিজিরিয়ানের পর থেকেই আলাপী বেগম প্রচণ্ড পেটের ব্যথা অনুভব করেন। গত ২০ জানুয়ারি প্রচণ্ড ব্যথার কারণে তাকে মা ফাতেমা ক্লিনিকে নিয়ে চিকিৎসক নানজীনকে দেখানো হয়।
“তিনি ব্যথার ওষুধ দিয়ে বিদায় করে দেন। এরপরও তার ব্যাথা ভাল না হলে গত শনিবার লক্ষ্মীপুর মাদারল্যান্ড ক্লিনিকে চিকিৎসককে দেখান। ওই চিকিৎসক তার আল্ট্রাসনোগ্রাফি করান। এতে তার পেটে তিনটি গজ আছে বলে ধরা পড়ে।”
আজম আরও বলেন, ওই রাতেই মাদারল্যান্ড ক্লিনিকে দ্বিতীয় দফায় অপারেশন করে গজ বের করা হয়।
এ ব্যাপারে চিকিৎসক সুলতানা নাজনীন রিতার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি আমান উল্লাহ বলেন, রোগীর স্বামী দায়ের করা মামলা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত করে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।