ছাত্রীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলায় রাজশাহীর আইএইচটি বন্ধ

নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলনরত রাজশাহী ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির ছাত্রীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার পর ইনস্টিটিউট বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Dec 2017, 10:34 AM
Updated : 6 Dec 2017, 10:34 AM

ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম জানান, বুধবার বেলা ১১টার দিকে হলের সামনে ‘অপ্রীতিকর ঘটনার’ পর অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভা ডেকে ইনস্টিটিউ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ’ ঘোষণা করা হয়।

একইসঙ্গে বেলা ১টার মধ্যে ছাত্রদের এবং ৩টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

কী কারণে কী ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।

তিনি বলেন, “বিভিন্ন দাবি নিয়ে ছাত্রীরা আমার কাছে এসেছিল। দাবি মানার আশ্বাস দিয়ে ছাত্রীদের হলে পাঠানো হয়। কিন্তু হলের সামনে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।”

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বহিরাগতসহ ছাত্রলীগের নেতাদের উৎপাত ও নিরাপত্তার দাবিতে আইএইচটির ছাত্রীরা বেলা সাড়ে ১০টার দিকে অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এতে নেতৃত্ব দেয় ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের নারী কর্মীরা।

পরে পুলিশ গিয়ে আন্দোলনরত ছাত্রীদের অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের করে দিলে তারা ছাত্রী হলের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগ সভাপতি জাহিদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক তুহিনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে আন্দোলনরত ছাত্রীদের মারধর করা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

এ হামলায় অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে; যাদের মধ্যে তিনজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রাজপাড়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, আন্দোলনরত ছাত্রীদের ওপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালানোর চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ গিয়ে তাদের প্রতিহত করে।

“পুলিশের ধাওয়া খেয়ে তারা ক্যাম্পাস ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”

তবে আন্দোলনরত ছাত্রী ছাত্রলীগকর্মী নাদিরা বলেন, গত গত ৩ নভেম্বর ছাত্রলীগের নারী কর্মীরা ইনস্টিটিউটের কর্মসূচিতে না গিয়ে নগর ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে যাচ্ছিল। এ সময় ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ ও সাধারণ সম্পাদক তুহিন ছাত্রী হলের গেইটে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেয়।

“তারা দুই নারী ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর করে এবং হলের সাধারণ ছাত্রীসহ নারী ছাত্রলীগ কর্মীদের বিভিন্নভাবে নিপীড়ন করতে থাকে। এর প্রতিবাদে তারা অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছিল।”