নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় এক খ্রিস্টান ধর্মযাজক নিখোঁজ হয়েছেন বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।
Published : 28 Nov 2017, 06:53 PM
সোমবার থেকে ওয়াল্টার উইলিয়াম রোজারিও (৪২) নামের ওই ব্যক্তি নিখোঁজ বলে তার বড় ভাই প্রেমল রোজারিও জানান।
ওয়াল্টার উইলিয়াম রোজারিও বড়াইগ্রামের জোনাইল ধর্মপল্লীর সহকারী পাল-পুরোহিত এবং জোনাইল সেন্ট লুইস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
নাটোর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো. আব্দুল হাই জানান, “তাকে খুঁজে বের করতে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।”
ওয়াল্টারের নিখোঁজ হওয়ার খবর শোনার পরপরই নাটোরের পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদারসহ জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তারা বড়াইগ্রামে গেছেন বলে জানান ওসি।
ওয়াল্টারের বড় ভাই প্রেমল রোজারিও জানান, উপজেলার বনপাড়া শহরের একটি প্রেসে বড়দিন উপলক্ষে বিশেষ সংকলন প্রকাশের জন্য কিছু কাজ শেষে তিনি সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জোনাইলের উদ্দেমে মোটরসাইকেলে রওনা হন।
“কিন্তু রাত ৮টায়ও তিনি সেখানে ফিরে যাননি বলে জোনাইল ধর্মপল্লীর প্রধান পাল-পুরোহিত ফাদার সুব্রত পিউরিফিকেশন জানান। এরপর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজ-খবর নেন।”
মঙ্গলবার দুপুরে পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয় বলে প্রেমল রোজারিও জানান।
ওয়াল্টার রোজারিও বনপাড়া পৌর শহরের মিশন পাড়া এলাকার মৃত সিলভেস্টার রোজারিওর ছেলে।
তাদের বাড়িটি আলোচিত জঙ্গি হামলায় নিহত সুনীল গোমেজের বাড়ি থেকে ১০০ গজ দূরে। সম্প্রতি সুনীল গোমেজ হত্যা মামলায় ১২ জঙ্গির বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগপত্র দিয়েছে।
গত বছর ৫ জুন খ্রিস্টান পাড়ার নিজ মুদি দোকানে সুনীল গোমেজকে কুপিয়ে হত্যা করে অজ্ঞাত পরিচয় হামলাকারীরা। হত্যাকাণ্ডের পর জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস দায় স্বীকার করে বার্তা দেয়। ওইদিন রাতেই নিহতের মেয়ে স্বপ্না গোমেজ বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেন।
বনপাড়া ধর্মপল্লীর প্রধান বিকাশ হিউবার্ট রোজারিও বলেন, ওয়াল্টারের নিখোঁজ হওয়ার খবরে তারা উদ্বিগ্ন ও বিচলিত।
প্রশাসন খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ওয়াল্টারের সন্ধান দিতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করছেন।