মামলার তদন্ত কর্মকর্তা টঙ্গী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাসানুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার সৌরভকে গাজীপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হলে বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন ৮ অক্টোবর শুনানির তারিখ রাখেন।
ঢাকার কাকরাইলের সেন্ট মেরিস ক্যাথিড্রালের ফাদার শিশির গ্যাগারিওকে অপহরণে জড়িত অভিযোগে সোমবার রাতে টঙ্গীর মরকুন এলাকার গোলাম কবিরের ছেলে সৌরভকে (২৫) টঙ্গীর পাগার এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।
পরে এ ঘটনায় ফাদার শিশির চারজনকে আসামি করে টঙ্গী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন বলে টঙ্গী থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান।
মামলার বরাত দিয়ে পরিদর্শক হাসানুজ্জামান জানান, সোমবার দুপুরে অপরিচিত একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফাদার শিশিরের ফোন করে বলা বলা হয়, তার বোন সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন, তিনি আছেন টঙ্গীর পাগাড় ফকির মার্কেটে। তার অবস্থা ভালো নয়, ফাদার শিশির যেন দ্রুত চলে আসেন।
এরপর কাউকে কিছু না জানিয়ে সেময় মোটরসাইকেলে করে শিশির টঙ্গীর দিকে রওনা হন।বিকাল ৩টায় ফকির মার্কেটে পৌঁছে যে ব্যক্তি তাকে ফোন করেছিলেন তার সঙ্গে দেখা করেন এবং তার বোন কোথায় রয়েছে তা জানতে চান।
ফাদার শিশির টঙ্গী গেলে ওই ব্যক্তি তাকে বোনের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ফকির মার্কেটের কাছে একটি ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে আরও চারজন অপেক্ষায় ছিল।
পরে তারা শিশিরকে ওই ঘরে আটকে রেখে তার মোটরসাইকেল, একটি মোবাইল ফোন, হাতঘড়ি, সঙ্গে থাকা ১৩০০ টাকা লুট করে। এরপর শিশিরের কাছ থেকে আরও তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা।
এক পর্যায়ে শিশির কৌশলে ঘর থেকে বেরিয়ে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে এবং ‘অপহরণকারীরা’ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন সৌরভকে আটক পুলিশে দেয় স্থানীয়রা।
হাসানুজ্জামান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সৌরভ তার সহযোগী হিসেবে জয়নাল (২৭), জেমস (২৫) ও হাসানের (২৬) নাম বলেছেন। তাদেরও এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
“তবে সৌরভ তার সহযোগীদের পুরো ঠিকানা প্রকাশ করেননি। সৌরভকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য জানা যাবে।”
বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।
গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম দীপ জানিয়েছেন, সৌরভকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের জন্য ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটিতে সুপারিশ পাঠিয়েছেন তারা।