কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় ভারত সীমান্ত ঘেষা একটি গ্রামে দুই সন্তানসহ এক রোহিঙ্গা দম্পতির সন্ধান পাওয়া গেছে।
Published : 16 Sep 2017, 08:16 PM
উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের দিয়াডাঙ্গা গ্রামে সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির মিঠু।
এরা হলেন আবুল কালাম (৩০), তার স্ত্রী সফিকা (২০), মেয়ে রোজিনা (৪) ও রোকেয়া (৩)।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু থানার তারাশু গ্রামে তাদের বাড়ি বলে জানিয়েছেন আবুল কালাম।
তিনি বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর আক্রমণে তিনি পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। প্রাণ বাঁচাতে দেড় মাস আগে নাফ নদী পেরিয়ে উখিয়ায় প্রবেশ করেন তারা। সেখানে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার ভুরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয় তাদের।
“তিনি মায়া করে আমাদের ভুরুঙ্গামারীতে নিয়ে আসেন। সেখানে বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাবলু হাজীর বাড়িতে অবস্থান নিই। পরে নিরাপত্তার স্বার্থে ওই ব্যক্তি আমাদেরকে ভারতীয় সীমান্ত গ্রাম দিয়াডাঙ্গায় তার শ্বশুর রশীদ মিয়ার বাড়ির পাশে লাভলুর বাড়িতে আশ্রয় দেন।”
চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির মিঠু বলেন, শুক্রবার এই পরিবারটি লাভলু মিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নেয়।পরিবারটি রোহিঙ্গা হওয়ায় বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।
“ধারণা করা হচ্ছে ভারতে অনুপ্রবেশের জন্য এ পরিবারটি সীমান্তবর্তী এই গ্রামে আশ্রয় নেয়।”
এ ব্যাপারে ভুরুঙ্গামারী থানার ওসি তাপস চন্দ্র পণ্ডিত বলেন, রোহিঙ্গা এ পরিবার প্রধান আবুল কালাম একজন প্রতিবন্ধী।এরা প্রায় দুই মাস আগে এ এলাকায় আসে।
এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
তিন সপ্তাহ আগে রাখাইনে নতুন করে সহিংসতা শুরুর পর ইতোমধ্যে ৪ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে পড়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়ছে।
নতুন শরণার্থীদের জন্য কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীতে আশ্রয় শিবির করেছে সরকার। সেখানে তাদের নিবন্ধনও করা হচ্ছে।
তবে এরই মধ্যে চট্টগ্রামের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়েছেন রোহিঙ্গারা; বেশ কয়েকজনকে ধরার পর উখিয়ায়ও ফেরত পাঠানো হয়েছে।
মধ্যাঞ্চলের মানিকগঞ্জ এবং পূর্বাঞ্চলের সুনামগঞ্জেও রোহিঙ্গা ধরা পড়ার পর উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রামেও চার রোহিঙ্গার সন্ধান পাওয়া গেল।
এদিকে রোহিঙ্গাদের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ২৭টি চেকপোস্ট বসিয়েছে চট্টগ্রাম পুলিশ। তাছাড়া রোহিঙ্গাদের বাড়ি ভাড়া দিতেও নিষেধ করেছে পুলিশ।