কিশোরীকে ধর্ষণ মামলায় চাচা গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইলে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে এক কিশোরীকে সাত মাস একটি বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে তার চাচাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মির্জাপুর উপজেলার একটি বাজার থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশের ওসি অশোক কুমার সিংহ জানান।

গ্রেপ্তার বাদল মিয়ার বাড়ি (৪১) সখিপুর উপজেলার রতনপুর কাশেমবাজারে। 

টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার মো. মাহবুব আলম  জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই মেয়টির (১৭) স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। বিকালে নারী ও শিশু আদালতের হাকিম রুপম কান্তি দাস তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। । 

ওসি অশোক সাংবাদিকদের বলেন, মেয়েটির সঙ্গে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার বটতলার একটি ছেলের দীর্ঘদিনের প্রেমের সর্ম্পক ছিল।মেয়েটি ওই ছেলেকে বিয়ে করতে চান বলে চাচা বাদল মিয়াকে জানান।

“ওই প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে বাদল মেয়েটিকে সখীপুরের একটি বাড়িতে নিয়ে যান।সেখানে আটকে রেখে মেয়েটিকে বারবার ঘুমের ওষুধ ও নেশাদ্রব্য খাইয়ে সাত মাস ধরে তাকে ধর্ষণ করেন বাদল।”

মেয়েটি নিখোঁজের পর তার পরিবারের সদস্যরা সখিপুর থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেন বলে ওসি অশোক জানান।

তিনি বলেন, গত রোববার সন্ধ্যায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় উপজেলার রতনপুর কাশেমবাজার এলাকার একটি নির্জন বাড়ি থেকে ওই মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সোমবার রাতে মেয়েটির ভাই বাদী হয়ে সখীপুর থানায় ধর্ষণের মামলা করেন বলে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান।