স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় গাইবান্ধায় এক ইউপি চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
Published : 04 Jul 2017, 04:25 PM
গাইবান্ধার নারী ও শিশু আদালতের বিচারক শফিকুল ইসলাম মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
আসামি মোস্তাফিজুর রহমান বাদল গাইবান্ধা সদর উপজেলার মৌজা মালীবাড়ী গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে এবং লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
তিনি উপজেলার লেংগাবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বও পালন করেন বলে মামলার নথি থেকে জানা যায়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ কে এম মহিবুল হক মোহন জানান, দুপুরে মোস্তাফিজুর রহমান বাদল আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে স্কুলে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন বাদল। মেয়েটি তার বাড়ির লোকজনকে জানালে তারা মেয়েটিকে পাশের অন্য আরেকটি স্কুলে ভর্তি করে দেন। এরপরও স্কুলে যাওয়া আসার পথে বাদল তাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন।
গত ২৭ মে রাতে মোস্তাফিজুর রহমান বাদল ওই ছাত্রীর বাড়ি যান। এক সময় কেউ বাড়িতে না থাকার সুযোগে বাদল মেয়েটির ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে বাদল পালিয়ে যান।
পিপি মহিবুল জানান, এ ঘটনায় মেয়েটির চাচা বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে ওই ইউপি চেয়ারম্যান পালাতক ছিলেন। আদালত মামলাটির শুনানির তারিখ আগামী ৫ জুলাই ঠিক করেছে।