সম্প্রতি মারা যাওয়া মালদ্বীপের মডেল ও রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রী রাউধা আথিফের বাবা বিয়ে করেছেন।
Published : 08 Jun 2017, 09:51 PM
মেয়ের মৃত্যুর দুই মাস পর বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন মালদ্বীপের চিকিৎসক মোহাম্মদ আথিফ।
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজশাহী আদালতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তাদের বিয়ে রেজিস্ট্রে হয় বলে জানিয়েছেন আইনজীবী নুরুন্নাহার লাবলি রত্মা।
রাউধা মারা যাওয়ার পর দেশে ব্যাপক আলোচনা হয়। ময়নাতদন্তে প্রথমে আত্মহত্যা বলা হলেও তার বাবা এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করে মামলা করেন। পরে লাশ তুলে আবার ময়নাতদন্ত করা হয়।
নুরুন্নাহার বলেন, পাত্রীর নাম কনকলতা (৩০)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা পিল্লাপাড়ার বদিউজ্জামানের মেয়ে। কনকলতারও এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তার নয় বছরের একটি ছেলে রয়েছে। দুই বছর আগে কনকলতার চিকিৎসক স্বামী জয়নাল আবেদিন ক্যানসারে মারা যান।
এছাড়া স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে বলে আথিফ জানিয়েছেন।
বিয়ের সময় স্ত্রী কনকলতার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও আথিফের পরিবারের কেউ ছিল না। বিয়ের পর ডা. আথিফ লক্ষ্মীপুরে তার নতুন স্ত্রীর বাসায় ওঠেন বলে নুরুন্নাহার জানান।
তিনি বলেন, “শরিয়া মোতাবেক তাদের বিয়ে ও নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেভিড সম্পন্ন হয়েছে। আগামী রোববার তারা আদালতে হাজির হয়ে বিয়ে করার মতামত জানাবেন।”
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইফতে খায়ের আলম বলেন, ডা. মোহাম্মদ আথিফ বিদেশী হলেও বাংলাদেশে বিয়ে করতে আইনগত কোনো বাধা নেই। এরপরও তিনি পুলিশকে মৌখিকভাবে জানিয়ে বিয়ে করেছেন।
চলতি বছরের ২৯ মার্চ রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রী হোস্টেলের ২০৯ নম্বর কক্ষ থেকে রাউধার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিন রাতে নগরীর শাহ মখদুম থানায় কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি অপমৃত্যুর মামলা করে। পরে রাউধার বাবা আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ।
রাউধার মৃত্যুর খবর পেয়ে পরদিন রাজশাহীতে আসেন ডা. মোহাম্মদ আথিফ। এরপর থেকে তিনি রাজশাহীতে রয়েছেন।