গোপালগঞ্জের কাশিয়ানিতে ১৮ বছর আগে এক গ্রাম্য মহাজনকে হত্যার দায়ে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
Published : 25 May 2017, 02:48 PM
বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. নাজির আহমেদ এ রায় দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কাশিয়ানী উপজেলার আড়ুয়াকান্দি গ্রামের জাকারিয়া শাফু, আলীউজ্জামান ওরফে খোকা মাস্টার, শাহাদত হোসেন, হেমায়েত উদ্দিন ও শাজাহান।
এদের মধ্যে সাফু ও শাজাহান পলাতক রয়েছেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন একই গ্রামের কায়কোবাদ ওরফে মানিক ফকির, মোজাফ্ফর হোসেন, ফায়েক, পারভেজ ওরফে শাহানূর, মোশারেফ হোসেন, লুথু মোল্লা, ইমারত হোসেন পাচু, হাসান, শাহা আলম, লায়েক মোল্লা, সেলিম, ফজু, ফারুক, রহমান, ফরমান, বায়োজিত ও ফারুক মিয়া।
এদের মধ্যে ফজু ও শাহা আলমসহ তিনজনকে অন্য ধারায় ১০ বছর কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। অন্যজন হলেন একই গ্রামের হাসান।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্তদের মধ্যে তিনজন এবং ১০ বছর দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে দুইজন পলাতক রয়েছেন বলে আদালতের বেঞ্চ সহকারী কাজী নাজমুল ইসলাম জানান।
যাবজ্জীবন প্রাপ্তদের প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর এবং ১০ বছর দণ্ডপ্রাপ্তদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাভোগ করতে হবে বলে জানান এপিপি শহীদুজ্জামান পিটু।
তাছাড়া অভিযোগ প্রামণিত না হওয়ায় আরও ১২ জনকে খালাস এবং মারা যাওয়ায় দুই আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
মামলার নথির বরাত দিয়ে এপিপি জানান, ১৯৯৯ সালের ১৫ অক্টোবর দুপুরে জুমার নামাজ পড়ে নৌকায় করে বাড়ি যাওয়ার পথে আসামিরা কাশিয়ানী উপজেলার আড়ুয়াকান্দি গ্রামের মহাজন সিরাজুল হক ছিরু মোল্লাকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে লাশসহ নৌকা পানিতে ডুবিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় পরের দিন ছিরুর স্ত্রী আমেনা বেগম ৩৭ জনকে আসামি করে কাশিয়ানী থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০০০ সালের ১৭ জানুয়ারি ৩৭ জনকেই আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ইসমাইল হোসেন রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, রায়ে আইনের শাসনের প্রতিফলন ঘটেছে।
তবে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ফজলুল হক খান খোকনের সহকারী তফছির বিশ্বাস।