প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এবছর দিনাজপুরের লিচুর ফলন কমে গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেশি লোকসান এড়াতে কমদামে অপরিপক্ক লিচুই তারা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
Published : 22 May 2017, 04:17 PM
দিনাজপুরে সব চেয়ে বেশি লিচুর বাগান রয়েছে সদরের মাসিমপুর, পুলহাট, সিকদারহাট, গোপালগঞ্জ, বাশেরহাট এবং বিরল উপজেলার মাধববাটি, করলা, নারাবাড়ি, হুসনা, রবিপুর ও কাজিপাড়ায়।
এসব এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ‘মাদ্রাজি’ ও ‘বেদানা’ জাতের লিচুর ফলন কিছুটা হলেও বোম্বাই লিচুর ফলন নেই বললেই চলে।
দিনাজপুর শহরের কালিতলা ফল মার্কেটের ব্যবসায়ী সাইদুর জানান, রমজান মাসে লিচুর চাহিদা কম হওয়ার আশঙ্কায় এবং অব্যাহত বৈরি আবহাওয়ার কারণে পরিপক্ক হওয়ার আগেই আগাম লিচু বিক্রি করে দিচ্ছেন বাগান মালিকরা।
লিচু বিক্রেতা সাব্বির আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা প্রতি হাজার লিচু বিক্রি বিক্রি করছেন ১২শ’ থেকে ১৪শ’ টাকায়।
তবে এই লিচু পরিপক্ক হয়ে বাজারে আসলে ১৭শ’ থেকে ১৮শ’ টাকায় বিক্রি হতো বলে জানান তিনি।
দিনাজপুর হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক প্রদীপ কুমার গুহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সাধারণত মে মাসের শেষ থেকে জুন পর্যন্ত লিচুর মৌসুম থাকে।
তিনি বলেন, “গত বছর চার হাজার ৪৭ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ করা হয়। এর বিপরীতে উৎপাদন ছিল ২৩ হাজার ২২৭ মেট্রিক টন।
“এ বছর চার হাজার ৭৩০ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। যার প্রায় অর্ধেক উৎপাদন হয়েছে দিনাজপুর সদর এবং বিরল উপজেলায়। গতবছরের তুলনায় এবছর প্রায় তিন থেকে চার হাজার মেট্রিক টন বেশি ফলনের কথা ছিল। কিন্তু অতিবৃষ্টি-শিলাবৃষ্টি-ঝড়-তাপদাহসহ প্রতিকূল আবহওয়ায় লিচুর মুকুল ঝরে পড়েছে।”
এ বছর আবহাওয়ার কারণে লিচুর উৎপাদন যেমন কম হয়েছে, তেমনি লিচুর আকারও ছোট হয়েছে বলে জানান তিনি।