রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) দ্বিতীয় বর্ষের আন্দোলনরত দুটি সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিতের পর এবার হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
Published : 01 Feb 2017, 07:28 PM
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার মধ্যে তাদের হল ছাড়তে হবে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শহীদুল ইসলাম হলের সহকারী প্রভোস্ট মো. মহিবুল ইসলাম।
বুধবার বিকালে তার স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
নোটিশে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের টিনসেড হলের সকল আবাসিক (১৪ ও ১৫ সিরিজ) ছাত্রদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য হল বন্ধ থাকবে। আগামীকাল সকাল ১০টার মধ্যে সব শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।
এ বিষয়ে সহকারী প্রভোস্ট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই টিনসেড হলেই কেবল ওই দুই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা থাকে।
“শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে যে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেটাকে স্বাভাবিক করার জন্য হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হলে হল খুলে দেওয়া হবে।”
তবে আন্দোলনে কেবল ছেলে শিক্ষার্থীদের জন্যই কেন হল বন্ধ করা হচ্ছে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “এটা আমি ঠিক জানি না। আমাকে যেটা বলা হয়েছে আমি কেবল সেটাই করেছি।”
এই দুই সিরিজের শিক্ষার্থীরা ২৮ জানুয়ারি থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ৩৩ ক্রেডিট পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে টানা আন্দোলন করে আসছিলেন। এর মধ্যে মঙ্গলবার বিকালে এই দুই সেমিস্টারের একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত করে রুয়েট প্রশাসন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, ৩৩ ক্রেডিট পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। কারণ ৩৩ ক্রেডিট না তুলতে পারলে পরবর্তী ধাপে উত্তীর্ণ হওয়া যায় না। তারা আগের ক্যারি অন পদ্ধতিতে যেতে চান। এ পদ্ধতিতে দুই-এক বিষয়ে ফেল থাকলেও পরবর্তীতে বর্ষে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকে। সেই সঙ্গে আগের ফেল করা বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করা সুযোগ থাকে।