বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের জমায়েত শুরু

টঙ্গীর তুরাগতীরে শুক্রবার শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে আগামী রোববার শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।

দ্বিতীয় দফায় ইজতেমায় অংশ নিতে বুধবার ভোর থেকেই  প্রয়োজনীয় মালামালসহ বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে জেলাওয়ারি খিত্তায় অবস্থান নিতে শুরু করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। বাস, প্রাইভেটকার, ট্রাক, লেগুনাসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে ইজতেমাস্থলে সমবেত হচ্ছেন তারা।

বিশ্ব ইজতেমার মুরুব্বি গিয়াস উদ্দিন  জানান, এবারও বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের পশ্চিম-উত্তর দিকে বিদেশি মুসল্লিদের অবস্থানের জন্য বিশেষ আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। বিদেশি নিবাসে রন্ধনশালায় সার্বক্ষণিক গ্যাস ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং সেখানে অ্যাম্বুলেন্স ও টেলিফোনসহ প্রয়োজনীয় আধুনিক সুবিধাদি রয়েছে। বিদেশি নিবাসে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থাও রয়েছে। এবার বিদেশি মুসল্লিদের জন্য ২০ শতাংশ আবাসনসহ অন্যান্য সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।

গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ বলেন, “এবারও গেল বারের মতো পোশাকে, সাদা পোশাকে ছয় হাজারের মত পুলিশ পাঁচটি সেক্টরে ইজতেমায় নিরাপত্তা দেবে। এছাড়া র‌্যাব, আনসার সদস্য ও ইজতেমা কর্তৃপক্ষের নিজস্ব কর্মীরাও আমাদের সঙ্গে থাকছেন।”

১৯৬৬ সাল থেকে টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা হয়ে আসছে। চাপ কমাতে ২০১১ সাল থেকে ইজতেমাকে দুই পর্বে বিভক্ত করা হয়। তার পরও স্থান সংকুলান না হওয়ায় ২০১৫ সাল থেকে দেশের অর্ধেক জেলা প্রথম দুই ধাপে এবং বাকি অর্ধেক জেলা পরের বছর দুই ধাপে অংশ নিয়ে আসছে।

গত ১৩-১৫ জানুয়ারি এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হয়।

দ্বিতীয় দফা: ১৭ জেলার খিত্তা

দ্বিতীয় দফায় (২০-২২জানুয়ারি) যে  সকল জেলা অংশ নেবে সেগুলো হলো- ঢাকা (খিত্তা-১,২,৩,৪,৫ ও ৭), মেহেরপুর (খিত্তা-৬), লালমনিরহাট (খিত্তা-৮), রাজবাড়ী (খিত্তা-৯), দিনাজপুর (খিত্তা-১০), হবিগঞ্জ (খিত্তা-১১), মুন্সিগঞ্জ (খিত্তা-১২ ও১৩), কিশোরগঞ্জ (খিত্তা-১৪ ও ১৫),  কক্সবাজার (খিত্তা-১৬), নোয়াখালী (খিত্তা-১৭ ও ১৮), বাগেরহাট (খিত্তা-১৯), চাঁদপুর (খিত্তা-২০), পাবনা (খিত্তা-২১ ও ২২), নওগাঁ (খিত্তা-২৩), কুষ্টিয়া (খিত্তা-২৪), বরগুনা (খিত্তা-২৫) ও বরিশাল (খিত্তা-২৬)।

ইজতেমায় জুমার নামাজে দেশের বৃহত্তম জামাত

তুরাগ তীরে মানুষের ঢল