শরীয়তপুরে ‘জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা’ করায় এক প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে; এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
Published : 29 Nov 2016, 11:37 AM
সদর উপজেলার মধ্যপাড়া থেকে সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে বলে জানান পালং মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. এমারত হোসেন।
নিহত সাবিনা ইয়াসমীন (১৩) একই উপজেলার চরলক্ষ্মী নারায়ণ গ্রামের সুলতান হোসেনের মেয়ে। সে এ বছর রুদ্রকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিল।
সুলতান হোসেন সপরিবার মধ্যপাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করেন।
পরিদর্শক এমারত প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে জানান, সাবিনার মা রুমা বেগম, ভাই সাব্বির হোসেন ও নানি মাকসুদা মিলে তার বিয়ের আয়োজন করেন।
“সাবিনাকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল। এ কারণে সে আত্মহত্যা করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”
সোমবার সন্ধ্যায় গোপনে দাফন করার সময় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বলে জানান পরিদর্শক এমারত।
তিনি বলেন, পুলিশ গিয়ে কাফনের কাপড় পরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসাপাতাল মর্গে পাঠায়।
“ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।”
আটককৃতরা হলেন - সাবিনার নানি মাকসুদা বেগম ও ঘটক রহিমা বেগম।
এছাড়া সাবিনার মা ও ভাই পলাতক থাকলেও তাদের আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পরিদর্শক এমারত।