নাসিরনগরের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলার নেপথ্যে যারা কাজ করেছে, তাদের চিহ্নিত করার দাবি করেছে পুলিশ।
Published : 22 Nov 2016, 09:29 PM
এই ঘটনায় পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি মো. শাখাওয়াত হোসেন মঙ্গলবার বলেছেন, “ঘটনার নেপথ্যে যারা ছিলেন, তাদের নাম ইতোমধ্যে পেয়েছে পুলিশ।
“তাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। তাদের দ্রুতই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।”
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে নাসিরনগরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের এই ডিআইজি।
তার তদন্ত প্রতিবেদনে এসেছে, হিন্দুদের উপর হামলার এই ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক কোন্দলের প্রভাব রয়েছে।
তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সাখাওয়াত বলেন, “কাজ এখনও চলছে।”
তিনি বলেন, কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে গণমাধ্যমের সব প্রতিবেদন ‘তথ্যনির্ভর নয়’।
গত ৩০ অক্টোবর নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের জগন্নাথ দাসের ছেলে রসরাজ দাসের (৩০) ফেইসবুক পাতায় ‘ইসলামের অবমাননাকর’ একটি পোস্ট পাওয়ার কথা তুলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।
রসরাজকে পুলিশ গ্রেপ্তারের পর তার শাস্তি দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশের পরপরই নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা হয়।
কয়েকশ মানুষ দফায় দফায় হামলা চালিয়ে অন্তত ১৫টি মন্দিরে ভাংচুর করে। হিন্দু সম্প্রদায়ের দেড়শ বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।
এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া পাহারার মধ্যেও কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটে।
বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা-ভাংচুর এবং ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় এ পর্যন্ত সাতটি মামলা হয়েছে জানিয়ে ডিআইজি শাখাওয়াত বলেন, ইতোমধ্যে ৮৫ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাদের মধ্যে চারজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
এসব মামলায় অযথা কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না বলে দাবি করেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।