ঢাকার আশুলিয়ায় র্যাবের অভিযানের সময় ভবন থেকে পড়ে নব্য জেএমবির ‘অর্থদাতা’নিহতের মামলার তদন্তের ভার নিয়েছে র্যাব।
Published : 14 Oct 2016, 04:19 PM
একই সঙ্গে তারা নিহতের স্ত্রীকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দায়িত্বও পেয়েছে।
নিহত আব্দুর রহমানের স্ত্রী মোসাম্মত শাহানাজ আক্তার রুমিকে (২৮) বৃহস্পতিবার র্যাব হেফাজতে নিয়েছে বলে আশুলিয়া থানার এসআই মোরশেদ আলী মোল্লা জানান।
গত শনিবার বিকালে আশুলিয়ার বাইপাইল বসুন্ধরারটেক এলাকায় র্যাবের অভিযান চলাকালে একটি পাঁচতলা ভবন থেকে পড়ে মারা যান আব্দুর রহমান ওরফে রাকিবুল ওরফে সারোয়ার হোসেন ওরফে নাজমুল হক ওরফে এনামুল হক (৩২)।
“সোমবার ওই দুই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রুমিকে পাঁচ দিন করে ১০ দিনের হেফাজতে (রিমান্ড) আনে আশুলিয়া থানা পুলিশ। রিমান্ডের তিন দিন শেষে তাকে র্যাবের হেফাজতে দেওয়া হয়। বাকি দুই দিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে র্যাব।”
তিনি বলেন, বিভিন্ন নথিপত্র ও আনুষ্ঠানিকতা শেষে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আশুলিয়া থানা থেকে আব্দুর রহমানের স্ত্রীকে নতুন তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-৪ নবীনগর ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার উনু মং এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এসআই মোরশেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, র্যাবের আবেদনের প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে রুমিকে র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ সময় তার দুই শিশু সন্তান মো. জাওয়াদ হোসেন (০৬) ও মো. তাহমিদ হাসানকেও (০৪) মায়ের সঙ্গে রাখা হয়। এছাড়া আরেক সন্তান মোসাম্মত আতিয়া হককে (১১) সেফ হোমে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।
শনিবার ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইল বসুন্ধরারটেক এলাকার একটি বাড়িতে র্যাবের অভিযানের সময় পাঁচতলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় ‘নব্য জেএমবির প্রধান অর্থদাতা’ আব্দুর রহমান ওরফে রাকিবুল ওরফে সারোয়ার হোসেন ওরফে নাজমুল হক ওরফে এনামুল হক। ওই অভিযানের পর তার তিন সন্তান ও স্ত্রী শাহানাজ আক্তার রুমিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।