জামালপুরে অবস্থান নেওয়া ভারতীয় সেই বুনো হাতিটি নাগালে আনার চেষ্টায় শিকারি হাতিসহ পিছু নিয়েছে ১৭ সদস্যের উদ্ধারকারী দল।
Published : 06 Aug 2016, 11:02 PM
প্রশিক্ষিত শিকারি হাতিটা মাঝে মাঝে পিছিয়ে সতর্কতার সঙ্গে অগ্রসর হওয়ায় উদ্ধারে দেরি হচ্ছে বলে জানান ঢাকার বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক ও উদ্ধারকারী দলের প্রধান অসীম মল্লিক।
শনিবার রাত ১০টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হাতিটা মাদারগঞ্জ উপজেলার সিধুলী ইউনিয়নের ঝিনাই নদীর কাছে আমতলির চরে থাকার কথা জানান তিনি।
শুক্রবার রাতে ছিল জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার সৈয়দপুরে।
ভারত থেকে বানের পানিতে ভেসে আসা হাতিটি উদ্ধারে বাংলাদেশের ১৭ ও ভারতের ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চেষ্টা চালাচ্ছে।
পরিদর্শক অসীম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বুনো হাতি উদ্ধারের জন্য বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক থেকে একটি প্রশিক্ষিত হাতি আনা হয়েছে। কিন্তু সে বুনো হাতির বেশি কাছে যাচ্ছে না। মাঝে মাঝে এগোলেও আবার পিছিয়ে আসছে।
“সব প্রস্তুতি থাকলেও হাতিটি পানি থেকে না ওঠায় উদ্ধার করা যাচ্ছে না। সে কিছুক্ষণ পরপর অবস্থান পরিবর্তন করায় উদ্ধারকারীরা কায়দা করতে পারছে না।”
তাকে তাড়িয়ে ডাঙ্গায় নিয়ে ট্রাঙ্কুলাইজার দিয়ে অজ্ঞান করে ট্রাকে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “বেশি বিরক্ত করা ঠিক হবে না বলে উপযুক্ত সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছি।”
বাংলাদেশের ১৭ সদস্যের দলটি তাকে দিন-রাত চব্বিশ ঘণ্টা অনুসরণ করছে বলে তিনি জানান।
বুনো হাতিটি গত ২৮ জুন ভারতের আসাম থেকে বানের পানিতে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলায় ভেসে আসে। এরপর জামালপুর, গাইবান্দা, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন চর ঘুরে জামালপুরের সরিষাবাড়িতে অবস্থান নেয়।
শনিবার অবস্থান পরিবর্তন করে মাদারগঞ্জের চরভাটিয়ানি এলাকার ঝিনাই নদীর কাছে আমতলির চরে রয়েছে।