নেত্রকোণার দুর্গাপুরে এক কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। দণ্ডিতকে ২০ হাজার জমিানাও করা হয়, যা অনাদায়ে তাকে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাভোগ করতে হবে।
Published : 22 May 2016, 08:39 PM
রায়ে বলা হয়, ধর্ষণের শিকার কিশোরী ও দণ্ডিত ব্যক্তি হবে ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া শিশুর মা ও বাবা।
এছাড়া ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া শিশুর দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ঘটনার সাত বছর পর রোববার নেত্রকোণার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ কে এম আবুল কাশেম এ রায় দেন।
দণ্ডিত আব্দুস সাত্তার দুর্গাপুরের পলাশগড়া গ্রামের মনির উদ্দিনের ছেলে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১২ মে দুর্গাপুর উপজেলার ১৩ বছরের ওই কিশোরী অপহরণ ও ধর্ষণের শিকার হয়।
ওই আদালতের পিপি জিএম খান পাঠান বিমল জানান, ধর্ষণের ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে একই বছরের ২০ মে তিন জনকে আসামি করে দুর্গাপুর থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
পুলিশ তদন্ত শেষে একই বছরের ২০ অগাস্ট তিনজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় বলে জানান তিনি।
“নির্দিষ্ট সময় পর ওই কিশোরীর একটি ছেলে হয়। ওই কিশোরী এবং দণ্ডিত ব্যক্তি শিশুটির মা ও বাবা বলে রায়ে বলা হয়েছে। তবে ওই শিশুর দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।”
রায়ে দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এরা হলেন দণ্ডিত আব্দুস সাত্তারের ছোট ভাই আব্দুল জলিল ও তার এক সহযোগী ভবানীপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে আবু চান।