সুন্দরবনে দফায় দফায় আগুন লাগার কারণে চাঁদপাইয়ের পর শরণখোলা রেঞ্জেও বনজীবীদের সব ধরনের পাস-পারমিট দেওয়া বন্ধ রেখেছে বন বিভাগ।
Published : 29 Apr 2016, 01:45 PM
দ্বিতীয় দিনেও নেভেনি সুন্দরবনের আগুন
সুন্দরবনে সতর্কতা, পাস-পারমিট বন্ধ
যে জেলে, মৌয়ালী বা বাওয়ালীরা পাস-পারমিট নিয়ে এখনও ওই এলাকায় অবস্থান করছেন, তাদের দ্রুত বন থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বনবিভাগের খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মো. জহির উদ্দিন আহমেদ শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, বাববার আগুন লাগার কারণেই তাদের এ সিদ্ধান্ত।
“এখনও যারা পাস-পারমিট নিয়ে পূর্ব বিভাগের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জে অবস্থান করছেন, তাদের দ্রুত বের হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”
তবে বাইরে থেকে আসা পর্যটকরা সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন বলে বন বিভাগের এ কর্মকর্তা জানান।
বুধবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের ২৫ নম্বর কম্পার্টমেন্টের তুলাতলা এলাকায় আগুনের সূত্রপাত হয়। গত এক মাসে ওই এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের চতুর্থ ঘটনা এটি।
এরপর বৃহস্পতিবার বিকালে চাঁদপাই রেঞ্জে ‘বিশেষ সতর্কতা’ জারি করে সেখানে জেলে, মৌয়ালী, বাওয়ালী বা সাধারণ মানুষের চলাচল সংরক্ষিত করে বনবিভাগ।
সেইসঙ্গে ঘনঘন আগুন লাগার কারণ উদঘাটনে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (আইন) মো. মোজাহেদ হোসেনকে প্রধান করে গঠিত এ কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, এখনই ফায়ার সার্ভিসকে সুন্দরবন থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে না। বনবিভাগের সঙ্গে তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে।
বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক মানিকুজ্জামান বলেন, বুধবার সন্ধ্যা থেকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ওই এলাকায় কাজ করছিল। শুক্রবার সকালে খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ১২ জনের একটি দল তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে।
“তীব্র বাতাসের কারণে আগুন নেভানোর কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় এখনও ধোঁয়া দেখতে পাচ্ছি। আমরা পানি ছিটিয়ে যাচ্ছি।”