একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে যশোর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার সময় হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, যার জন্য আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের এক পক্ষকে দায়ী করা হচ্ছে।
Published : 21 Feb 2016, 03:08 AM
রোববার রাতের প্রথম প্রহরে শহীদ বেদীতে আকস্মিক এ বিস্ফোরণে আতঙ্কিত হয়ে ছুটাছুটি শুরু করে শ্রদ্ধা জানাতে আসা নানা বয়সী মানুষ।
এসময় ফাঁকা গুলি ও কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এ ঘটনায় কেউ হতাহত বা আটক হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে প্রথম প্রহরের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের আয়োজন পণ্ড হয়ে গেছে।
পুলিশ ঘটনার জন্য সদর আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের একটি বিরোধী পক্ষকে দায়ী করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন ঘটনার জন্য জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুলকে দায়ী করেন। তবে তিনি বলছেন, স্থানীয় সংসদ সদস্যের নেতৃত্বে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা বোমা হামলা চালিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ১২টা ১ মিনিটে যশোর সরকারি এমএম কলেজস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথম ফুল দেন সদর আসনের সংসদ সদস্য নাবিল। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ফুলে দেওয়ার পরপরই ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ফুল দিতে বেদীতে যায় নেতাকর্মীরা। এসময় তারা হট্টগোল শুরু করলে পুলিশ থামানোর চেষ্টা করে।
এসময় শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানাতে আসা নারী-পুরুষ ও শিশুরা আতঙ্কিত হয়ে ছুটাছুটি শুরু করে। মুহূর্তেই ফাঁকা হয়ে যায় শহীদ মিনার এলাকা।
এ ঘটনায় কেউ জখম হয়নি এবং জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি বলে জানান কোতয়ালি থানার ওসি ইলিয়াচ হোসেন।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ফুল দিতে গেলে সংসদ সদস্যের বিরোধী একটি পক্ষ হট্টগোলের চেষ্টা করে।
এক পর্যায়ে তাদের নিজেদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয় এবং ৫/৬টি হাতবোমার বিষ্ফোরণ ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং কাঁদুনে গ্যাসে নিক্ষেপ করে।
তবে হামলা জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা ছাত্রলীগ নেতা বিপুল ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার দাবি জানিয়েছেন।