হবিগঞ্জে চার শিশু হত্যার ঘটনায় আরও এক সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
Published : 20 Feb 2016, 01:11 PM
সালেহ আহমেদকে (২৭) শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রাম থেকে আটক করা হয় বলে বাহুবল থানার ওসি মোশারফ হোসেন জানান।
ওসি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, স্থানীয় লোকজন সন্দেহভাজন হিসেবে সালেহকে আটক করে পুলিশে খবর দিলে তাকে আটক করে থানায় আনা হয়।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জন আটক হলেন।
এর আগে আটক পাঁচজন হলেন সালেহ আহমেদের ভাই বশির আহমেদ, আব্দুল আলী বাগাল, তার দুই ছেলে জুয়েল মিয়া ও রুবেল মিয়া এবং আজিজুর রহমান আরজু।
১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সুন্দ্রাটিকি গ্রামের ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র জাকারিয়া শুভ (৮), আবদাল মিয়ার ছেলে প্রথম শ্রেণির ছাত্র মনির মিয়া (৭), আব্দুল আজিজের ছেলে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র তাজেল মিয়া (১০) ও সুন্দ্রাটিকি আনোয়ারুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসার নুরানি প্রথম শ্রেণির ছাত্র আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল মিয়া (১০) নিখোঁজ হয়।
পাঁচ দিন পর বুধবার সকালে গ্রাম থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরের ইছারবিল খালের পাশে বালুচাপা অবস্থায় চার শিশুর মৃতদেহ পাওয়া যায়।
এদের মধ্যে শুভ, মনির ও তাজেল চাচাত ভাই আর ইসমাইল তাদের প্রতিবেশী।
গ্রাম পঞ্চায়েত আব্দুল আলী ওরফে বাগল মিয়ার সঙ্গে নিহত শিশুদের অভিভাবকদের পক্ষের পঞ্চায়েত খালেক মিয়ার দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। মাসখানেক আগে গ্রামের একটি বরইগাছ কাটাকে কেন্দ্র করে বাগল মিয়ার সঙ্গে খালেক মিয়ার আবারও ঝগড়া হয়।
এর জের ধরে চার শিশুকে হত্যা করা হয় বলে এক আসামি জবানবন্দিতে স্বীকার করেছেন।