ঢাকার কেরানীগঞ্জে শিশু আবদুল্লাহ হত্যা মামলার বিচার কয়েকমাসের মধ্যে নিষ্পত্তির আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
Published : 03 Feb 2016, 01:23 PM
বুধবার সকালে তিনি রোহিতপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মুগারচর গ্রামে আবদুল্লাহর বাড়ি গিয়ে বাবা-মাসহ অন্য স্বজনদের একথা বলেন।
নিহত মো. আব্দুল্লাহ্ (১১) কেরানীগঞ্জ মডেল থানার রুহিতপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মুগারচরের সৌদি আরব প্রবাসী মো. বাদল হোসেনের ছেলে। সে মুগারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
গত শুক্রবার দুপুরে খাবার খাওয়ার পর খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় আব্দুল্লাহ। অনেক খুঁজাখুঁজির পর না পেয়ে রাতে থানায় একটি জিডি করে তার পরিবার।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রতিবেশী মোতাহার হোসেনের বাড়ির একটি ড্রামে তার গলিত লাশ পাওয়া যায়। মোতাহার হোসেন সম্পর্কে আব্দুল্লাহ্র বাবার আপন চাচা এবং মায়ের আপন মামা।
আবদুল্লাহর স্বজনদের খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হবে। তিন থেকে চার মাসের মধ্যে বিচারকাজ সম্পন্ন হবে।
“আমি বাদীর ও এলাকাবসীর পক্ষ হয়ে ব্যক্তিগতভাবেও বিষয়টি দেখব, যাতে বাদীরা কোনোরকম হয়রানির শিকার না হয় এবং আসামিরা যাতে সর্বোচ্চ সাজা পায়।
“ আব্দুল্লাহকে জীবিত উদ্ধার করতে না পারলেও লাশ উদ্ধার করতে পেরেছে। সেজন্য আমি আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করতে পারলে আমরা সবাই তাদের আরও বেশি প্রশংসা করতে পারতাম।”
এ সময় উপজেলার চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ, কেরানীগঞ্জের ইউএনও আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ জানান, গত শুক্রবার রাতেই শিশুটির নানা মারফত আলী অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি জিডি করেন। এখন এই জিডিকে মামলা হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
চারজনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় বলে জানান তিনি।
আব্দুল্লাহর বাবা-মা, স্বজনসহ এলাবাসী মন্ত্রীর কাছে আব্দুল্লাহ্ হত্যার দ্রুত বিচার এবং এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
এলাকাবাসী দোষিদের ফাঁসির দাবিতে কয়েকদফা মানববন্ধন ও ঝটিকা মিছিল করে।