যশোরের মনিরামপুরে ঋষিপল্লীতে হামলার ঘটনায় মামলার পর তিনজনকে আটকের পাশাপাশি দুজনকে ধরিয়ে দিতে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ।
Published : 01 Feb 2016, 12:52 AM
এই দুজনের এজন দুর্বাডাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আবু সাঈদ ও ইব্রাহিম হোসেন। অভিযোগ ওঠার পর সাঈদকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে উপজেলা ছাত্রলীগ।
মনিরামপুর উপজেলার পাড়ালা গ্রামে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান রোববার সন্ধ্যায় তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে পুরস্কারের ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, “আমরা জেনেছি যারা হামলা চালিয়েছে তাদের মধ্যে প্রধানত দায়ী আবু সাঈদ এবং ইব্রাহিম আত্মগোপন করেছেন।
“কেউ যদি তাদের সন্ধান দিতে পারেন এবং সেই তথ্য অনুযায়ী যদি তাদের আটক করা সম্ভব হয় তাহলে প্রত্যেকের জন্য ১০ হাজার টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে।”
হামলার ঘটনায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অধীর দাস মামলা করেছেন।
পুলিশ সুপার বলেন, ইতিমধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি জীবনী বেগমকে গ্রেপ্তারসহ আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে এবং অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে।
“বর্তমানে ঋষিপাড়ায় কোনো আতঙ্ক না থাকলেও পুলিশের পাঁচটি দল কাজ করছে। ঋষিপাড়ার শিক্ষার্থীরা যাতে নির্ভয়ে এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারে সে জন্যও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
অন্যদিকে রোববার রাতে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মুরাদুজ্জামান মুরাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঋষিপল্লীতে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় আবু সাঈদের নামে মামলা হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে এসএসসি পরীক্ষার্থী তিন কিশোরীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় যশোরের মনিরামপুরে ঋষি পল্লীতে হামলা ও আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয় বলে জানান নেহালপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক আব্দুর রাকিব।
ঋষিপল্লীর বাসিন্দা গোবিন্দ দাসের অভিযোগ, ছাত্রলীগ নেতা সাঈদ ও ইব্রাহিমের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন হামলা চালায়।
রোববার স্থানীয় সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য, জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবীর, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক, উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু, পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ঋষিপল্লী পরিদর্শন করেন।