দিনাজপুরের কাহারোলে ইসকন মন্দিরে হামলার মামলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে।
Published : 13 Dec 2015, 05:00 PM
এদিকে এ মামলার আরেক আসামি মোসাব্বের আলম খন্দকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের হেফাজতে নেওয়ার আদেশ দিয়েছে দিনাজপুরের একটি আদালত।
এর আগে একই মামলার আসামি শরিফুল ইসলামকে শনিবার তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত।
ডিবির ওসি রেদওয়ানুর রহিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দিনাজপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রেজাউল বারীর আদালতে হাজির করে মোসাব্বেরকে ১০ দিনের হেফাজতে (রিমান্ড) নেওয়ার আবেদন করা হয়।
“শুনানি শেষে আদালত ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।”
তিনি জানান, এর আগে বেলা ১২টায় ডিবি পুলিশের একটি দল মোসাব্বের আলম খন্দকারকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
একই মামলার আরেক আসামি শরিফুল ইসলামকে কাহারোল থানা পুলিশ শনিবার তিন দিনের রিমান্ডে পেয়েছে।
মামলা স্থানান্তরের পর তাকেও ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান ওসি রেদওয়ানুর রহিম।
বৃহস্পতিবার রাতে কাহারোলের ইসকন মন্দিরে গুলি ও বোমা হামলায় দুইজন আহত হয়েছেন।
ওই ঘটনায় মোসাব্বের আলম খন্দকার ও শরিফুল ইসলামসহ ছয়জনকে আসামি করে কাহারোল থানায় মামলা করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
ঘটনার রাতেই এলাকার লোকজন শরিফুল ইসলামকে আটক করে। পরদিন বীরগঞ্জ উপজেলার সিংড়া ফরেস্ট এলাকায় এলাকাবাসীর হাতে আটক হন মোসাব্বের।
এছাড়া শুক্রবার গভীর রাতে শরিফুলের বাবা ও তাদের প্রতিবেশী এক পরিবারের চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।