রাজবাড়ীতে ১৩ মামলার এক আসামিকে আটকের পর গোয়েন্দা পুলিশের ‘অস্ত্র উদ্ধার’ অভিযানের মধ্যে কথিত বন্দুকযুদ্ধে তার মৃত্যু হয়েছে।
Published : 05 Nov 2015, 08:45 AM
নিহত শহিদুল ইসলাম শাহীন (৩০) সদর উপজেলার খানখানাপুর ইউনিয়নের বাড়ইপাড়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে।
পুলিশ বলছে, শহিদুল থানার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। স্থানীয়ভাবে তাকে মানুষ চেনে ‘পিচ্চি শাহিন’ নামে।
তার বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, ডাকাতি, চাদাবাজি, মুক্তিপণ আদায় ও অবৈধ অস্ত্র রাখাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৩টি মামলা রয়েছে বলে রাজবাড়ী গোয়েন্দা পুলিশের এসআই কামাল হোসেন জানান।
তিনি বলছেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে’ বুধবার রাতে সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়ন এলাকা থেকে শাহীনকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে নিয়ে মাঝরাতে পূর্ব আলীপুর গ্রামের জাকির হোসেনের কলা বাগানে অস্ত্র উদ্ধারে গেলে সেখানে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে।
“পুলিশ সদস্যরা সেখানে পৌঁছানোর পর কলা বাগানে ওঁৎ পেতে থাকা শাহীন বাহিনীর সন্ত্রাসীরা গুলি শুরু করে। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। বন্দুকযুদ্ধের মধ্যে শাহীন গুলিবিদ্ধ হয়।”
পরে শাহীনকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সৌরভ শিকদার তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে এসআই কামাল জানান।
তার ভাষ্য, গোলাগুলির সময় ‘ছুটোছুটি করতে গিয়ে’ ডিবি পুলিশের এসআই নিজামউদ্দিন, এসআই কামাল হোসেন, এএসআই হিরণ কুমার এবং কনেস্টেবল শফিক আহত হন। তাদের রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ‘প্রাথমিক চিকিৎসা’ দেওয়া হয়।
ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল একটি রিভলবার, একটি ওয়ান শুটারগান ও গুলি উদ্ধারের কথাও পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। শাহীনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে রাখা