লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল মোন্নাফ বলেন, “তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা আছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
Published : 02 Feb 2025, 08:00 PM
লক্ষ্মীপুর আদালতে হত্যা মামলায় হাজিরা দিতে এসে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় হট্টগোলের মধ্যে এক যুবককে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছেন আইনজীবী-জনতা।
রোববার দুপুরে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর বিএনপি-জামায়াতপন্থি আইনজীবীরা বিক্ষোভ করেন।
এ ঘটনায় আটক পরান চৌধুরী লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড বাঞ্চানগর এলাকার মৃত সিরাজ চৌধুরীর ছেলে। তিনি যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানান লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল মোন্নাফ।
পুলিশ, আইনজীবীসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ৪ অগাস্ট আফনান ও সাব্বিরসহ চার শিক্ষার্থী হত্যা মামলার শুনানি ছিল রোববার। এসব মামলায় শুনানি শেষে আসামি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবীর পাটওয়ারী, লক্ষ্মীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আহম্মদ পাটওয়ারী, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন আলমসহ গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের কারাগারে নেওয়ার জন্য প্রিজন ভ্যানে উঠাচ্ছিল পুলিশ। তখন সেখানে আওয়ামী লীগের বেশকিছু কর্মী-সমর্থকও উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় আসামিরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন। বাইরে থাকা কর্মী-সমর্থকরাও স্লোগান ধরেন। এতে বাধা দেন বিএনপি-জামায়াতপন্থি আইনজীবীরা। তখন আদালত প্রাঙ্গণে হট্টগোল দেখা দেয়।
তখন পরান চৌধুরীসহ দুইজনকে আটক করে মারধর করা হয়। এর মধ্যে কৌশলে একজন পালিয়ে যান। পরে পরানকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বিএনপি ও জামায়াতপন্থি আইনজীবীরা বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ শেষে বক্তব্য দেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) আহমেদ ফেরদৌস মানিক, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মহসিন কবির মুরাদ।
আইনজীবীরা বলেন, শেখ হাসিনার দোসররা এখনো বিভিন্নভাবে চক্রান্ত করছে। আদালত প্রাঙ্গণে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে লিফলেট বিতরণ করছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার করতে হবে। না হলে সামনে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল মোন্নাফ বলেন, “আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণকালে পরান নামে একজনকে আটক করা হয়। তিনি এখন পুলিশ হেফাজতে আছেন। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা আছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”