বিরাজমান তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মৃদু, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে মাঝারি, ৪ থেকে ৬ ডিগ্রির মধ্যে তীব্র এবং ৪ এর নিচে নেমে গেলে অতি তীব্র শৈত্য প্রবাহ ধরা হয়।
Published : 16 Jan 2024, 12:19 PM
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে মৌলভীবাজারে শ্রীমঙ্গলে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস জানায়, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শ্রীমঙ্গলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন বলে জানান আবহাওয়া কর্মকর্তারা।
আবহাওয়া দপ্তরের ভাষায় যাকে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বলা হয়।
বিরাজমান তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মৃদু, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে মাঝারি, ৪ থেকে ৬ ডিগ্রির মধ্যে তীব্র এবং ৪ এর নিচে নেমে গেলে অতি তীব্র শৈত্য প্রবাহ ধরা হয়।
এমন অবস্থায় দুপুরে কিছু সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও সকাল থেকে ঘন কুয়াশায় আবৃত্ত ছিল জেলার বিভিন্ন এলাকা। সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা জনজীবনে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা।
রাত নেমে আসার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার ঘনত্ব বাড়তে শুরু করে। এতে যানবাহন চালাতে গিয়ে বিপাকে পড়েন চালকরা।
রাজু আহমেদ নামে শ্যামলী পরিবহনের এক চালক বলেন, তিনি রাতে ঢাকা থেকে গাড়ি নিয়ে বিয়ানীবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে আসেন। পথে শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজার পার হতে গিয়ে প্রচণ্ড কুয়াশায় মধ্যে পড়েন। এতে তার দৃষ্টিসীমা বহুলাংশে কমে যায়।
এদিকে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সাজ্জাদ জানান, প্রচণ্ড ঠান্ডায় শিশু ও বয়স্ক রুগীর সংখ্যা বাড়ছে। শিশু ও বয়স্কদের ব্যাপারে পরিবারের সদস্য ও অভিভাবকদের বাড়তি যত্ন নিতে পরামর্শ দেন ডাক্তার সাজ্জাদ।
কুন্তী তাঁতী নামে এক চা শ্রমিক জানান, এখন পুরোদমে চা বাগানে পাতা কেটে দেওয়ার কাজ চলছে। এ কাজ করতে সকালে বাগানে ঢুকতে গেলে শিশিরে গায়ের কাপড় ভিজে যাচ্ছে।
শ্রীমঙ্গলের সজুববাগ এলাকার বীরেন্দ্র মালাকার নামে এক কৃষক বলেন, ঠান্ডার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় তাদের বীজতলায় ধানের হালি চারার বৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে।
তমাল কালাকার নামে আরেক কৃষক জানান, গবাদী পশু-পাখি নিয়ে তারা বিপাকে পড়েছেন। নিজেদের ব্যবহৃত পুরোনো শীতবস্ত্র ও পাটের বস্তা গবাদী পশুদের গায়ে জড়িয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
এদিকে, শ্রীমঙ্গলের সহকারী আবহাওয়া পর্যবেক্ষক বিবলু চন্দ্র দাশ জানান, এ অবস্থা আরো কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে।