গাজীপুরে পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম, মামলা হয়নি ছয়দিনেও

ভুক্তভোগী পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করার ছয়দিন পরও মামলা নথিভুক্ত করা হয়নি।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Dec 2022, 07:00 PM
Updated : 7 Dec 2022, 07:00 PM

গাজীপুরে বাড়িতে ঢুকে বৃদ্ধ, নারী ও শিশুসহ এক পরিবারের পাঁচজনকে কুপিয়ে ও তিনজনকে পিটিয়ে আহত করার প্রায় এক সপ্তাহেও মামলা হয়নি। 

ভুক্তভোগী পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও মামলা নথিভুক্ত করা হয়নি। 

গত শুক্রবার সকালে শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের মাইজ পাড়া গ্রামের দাইবাড়ির টেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

আহতরা হলেন উপজেলার বরমী ইউনিয়নের দাইবাড়িটেক গ্রামের মৃত মনসুর আলীর ছেলে আব্দুল মালেক (৭০), স্ত্রী মাজেদা বেগম (৬০), ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (৩৭) ও উজ্জ্বল হোসেন (৪৫), তার স্ত্রী নাছিমা বেগম (৪২), মেয়ে নিপা আক্তার (১৪), তোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী সুমি বেগম (৩৫), ছেলে শিমুল হোসেন (১৭)। 

অভিযোগে যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন একই গ্রামের জিন্নত আলীর স্ত্রী শামসুন্নাহার (৬৫), ছেলে মো. জসিম (৫৫), জসিমের ছেলে মো. সুজন (২১) ও মো. নাঈম (২৮), স্ত্রী মোছা. নুরুন্নাহার (৪৬) ও মো. রাজু (২৫)। 

বুধবার ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কিছু লোক আব্দুল মালেকের বাড়ির পাশে বন বিভাগের জায়গা ছাপড়া ঘর করে তাতে প্রতিনিয়তই উচ্চৈস্বরে গানবাজনা, মাদক সেবন করে অশ্লীল ভাষায় বিভিন্ন জনকে গালিগালাজ করে। এ নিয়ে, গত শুক্রবার [২ ডিসেম্বর] সকাল ৮টায় আব্দুল মালেকের ছেলে উজ্জ্বল হোসেন প্রতিবাদ করেন। এতে কয়েকজন হামলাকারী মালেকের বাড়ি গিয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের কোপায় এবং মারধর করে। 

আহতদের মধ্যে আব্দুল মালেক ও উজ্জ্বলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যান। 

ভুক্তভোগী উজ্জ্বল বলেন, তার বৃদ্ধ বাবা আব্দুল মালেক স্ট্রোক করে ‘প্যারালাইসড’ হয়ে ঘরে আছেন। হামলাকারীদের হাত থেকে অসুস্থ বাবা, বৃদ্ধ মা, নারী ও শিশুরা পর্যন্ত রক্ষা পায়নি। অসুস্থ বাবাকেও কুপিয়েছে তারা। পাঁচজনের মাথায় আট থেকে ১০টি সেলাই দিতে হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, ঘটনার ৬দিন পরও মামলা না হওয়ায় হামলাকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অভিযোগ তুলে নিতে ভিটে ছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে। হুমকির মুখে তারা এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। 

অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার এসআই রিপন আলী খান বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর থেকে ফোন পেয়ে ওইদিন এসআই কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি অভিযোগ পেয়ে গত মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। 

ওসির সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি। 

বরমী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন জানান, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপোষ মীমাংসার চেষ্টা করে তা সমাধান করা যায়নি। 

শ্রীপুর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, “ওইদিনই ডিউটি অফিসার ও অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা বিষয়টি আমাকে যথাযথভাবে অবহিত করেনি। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেব।”