রোববার রাত সাড়ে ৮টায় মধুপুর অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠানটি শুরু হবে বলে জানান ইউএনও।
Published : 15 Feb 2025, 12:45 PM
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় হেফাজতে ইসলামের আপত্তির মুখে স্থগিত হওয়া লালন স্মরণোৎসবের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে অনুষ্ঠানে মধুপুর লালন সংঘ থেকে ‘বিতর্কিত’ বক্তব্য, তথ্য ও সঙ্গীত উপস্থাপন না করার শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
আগামী রোববার রাত সাড়ে ৮টায় মধুপুর অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠানটি শুরু হবে বলে জানান মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জুবায়ের হোসেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ইউএনওর কার্যালয়ে হেফাজতে ইসলাম, বিএনপি, আয়োজক কমিটি, সেনাবাহিনী ও স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
ফকির লালন সাঁইয়ের ১৩৪তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে বুধবার রাত ৮টায় মধুপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মধুপুর লালন সংঘের আয়োজনে লালন স্মরণোৎসব-২০২৫ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে মধুপুর ইউএনও মো. জুবায়ের হোসেনের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। এ ছাড়া টাঙ্গাইলের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুপুর-সার্কেল), মধুপুর থানার ওসিসহ একাধিক ব্যক্তিকে অতিথি করা হয়।
কিন্তু হেফাজতে ইসলাম ও কওমী ওলামা পরিষদের নেতারা লালন উৎসবকে ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করে অনুষ্ঠান বন্ধের দাবি করেন। এক পর্যায়ে অনুষ্ঠানটি স্থগিত ঘোষণা করে আয়োজক কমিটি। বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। এ নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় মধুপুর ইউএনওর কার্যালয়ে হেফাজত ইসলাম, কওমী ওলামা পরিষদ, বিএনপি ও লালন সংঘের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে ইউএনও মো. জুবায়ের হোসেন, মেজর শোয়েব, মধুপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাকির হোসেন সরকার, মধুপুর লালন সংঘের উপদেষ্টা এস এম শহীদ, সাধারণ সম্পাদক গৌতম চন্দ্র সাহা, অনুষ্ঠান উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক সবুজ মিয়া, মধুপুর উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মুফতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদউল্যাহ এবং ক্বারী মোদাচ্ছের হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
পরে সমঝোতার ভিত্তিতে রোববার অনুষ্ঠানটি মধুপুর অডিটরিয়ামে রাত সাড়ে ৮টায় আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়।
আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক মো. সবুজ মিয়া বলেন, “বৈঠকে হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠান আয়োজনে কোনো বাধা না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে মধুপুর লালন সংঘ থেকে বিতর্কিত কোনো বক্তব্য, তথ্য ও সঙ্গীত উপস্থাপিত হবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।”
ইউএনও জুবায়ের হোসেন বলেন, সমঝোতার মাধ্যমে স্থগিত হওয়া লালন স্মরণোৎসবের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। বড় আয়োজনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হবে।