টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজনে উঠে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে; আহত হয়েছেন একই পরিবারের সাতজন।
সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার ধেরুয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে গোড়াই হাইওয়ে থানার ওসি মোল্লা টুটুল জানান।
নিহত মো. মারুফ গাইবান্ধা সদরের চাপাদহ গ্রামের এনামুল হকের ছেলে। সে গাজীপুর জেলার রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
এ ঘটনায় মারুফের বাবা-মা, চাচা-চাচি ও গাড়ি চালকসহ আটজন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন: মারুফের বাবা এনামুল হক, মা, চাচা আনোয়ারুল ইসলাম, চাচি নার্গিস রুকসানা, চাচাতো বোন বিন্তী, ছোট বোন ইথিনা আক্তার মিম এবং তিন মাসের শিশু মরিয়ম। তবে চালকের নাম জানা যায়নি।
তাদের কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে ইথিনা আক্তার মিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানায় হাসপাতালের চিকিৎসক।
আহত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে ওসি মোল্লা টুটুল জানান, গাইবান্ধা সদরের চাপাদহ গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য এনামুল হক। তিনি তার ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মাইক্রোবাসে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। পথে মহাসড়কের ওই স্থানে পৌঁছলে চালক গাড়িটির নিয়ন্ত্রণ হারান। এ সময় সড়ক বিভাজনে উঠে গিয়ে গাড়িটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে চালক এবং একই পরিবারের সাতজন আহত হন। স্থানীয় তাদের উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মারুফকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ থানায় আছে।
আইনী প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে ওসি মোল্লা টুটুল জানান।