Published : 03 May 2025, 06:12 PM
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় যুবদল কর্মী ইয়াছিন আরাফাত শাকিলকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টায় উপজেলার ছয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, শাকিলের স্বজন ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২৮ এপ্রিল রাতে উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের গঙ্গাবর বাজারে যুবকল কর্মী শাকিলকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে জানান বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি লিটন দেওয়ান।
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে প্রতিবাদ সমাবেশে ছয়ানী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি নূর নবী চৌধুরী, বেগমগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম, চনখোলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ইয়াকুব হোসেন, নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক নুরুল হুদা সোহাগ এবং নিহত শাকিলের বাবা খোকন মিয়া বক্তব্য দেন।
সমাবেশ থেকে পাড়া-মহল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বন্ধে প্রশাসনের প্রতি কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
নিহত ২৬ বছর বয়সি শাকিলের আট মাসের এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে কাজের সন্ধানে তার সৌদী আরব যাওয়ার কথা ছিল। তিনি পেশার টাইলস মিস্ত্রি ছিলেন।
ঘটনার পরদিন রাতে শাকিলের বাবা মো. সোলাইমান খোকন তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
ওসি লিটন দেওয়ান বলেন, ২৮ এপ্রিল রাতে আট থেকে নয়জন অস্ত্রধারী গঙ্গাবর বাজার থেকে লাবিব নামের এক কিশোরকে অপহরণের চেষ্টা করেন। এ সময় শাকিলসহ কয়েকজন তাদেরকে বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অস্ত্রধারীরা শাকিলকে গুলি করে হত্যা করেন।
এ সময় অস্ত্রের আঘাতে শাকিলের ছোট ভাই ছাত্রদল কর্মী মোজাম্মেল হোসেন শুভর মাথা ফেটে যায়। পরে আশপাশের লোকজন তিন যুবককে ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মোরশেদ আলম (২৫), মনির হোসেন (২২) এবং মো. জীবন (২৪)। তারা উপজেলার ধীতপুর গ্রামের বাসিন্দা।
পরে রাতে যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থল থেকে একটি গুলি ও গুলির খোসা উদ্ধার করে। পরদিন রাতে র্যাব, পুলিশ গঙ্গাবর বাজারের পাশের ডোবার পাড়ে ঝোপ থেকে একটি পিস্তল এবং খালি ম্যাগাজিন উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় করা মামলায় জীবন ও মনিরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ছাড়া অপর আসামি মোরশেদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান ওসি লিটন দেওয়ান।
যুবককে তুলে নেওয়ার চেষ্টা, ঠেকাতে গিয়ে গুলিতে প্রাণ গেল যুবদল কর্মীর