জাহাঙ্গীরের স্ত্রী ও মেয়ে এখনো বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন, তাদের অবস্থাও ভালো নয়।
Published : 24 Feb 2025, 10:50 AM
ঢাকার আশুলিয়ায় রান্নাঘরে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ তিনজনের মধ্যে গৃহকর্তা জাহাঙ্গীর আলম মারা গেছেন।
রোববার রাতে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩২ বছর বয়সী জাহাঙ্গীরের মৃত্যু হয় বলে জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, জাহাঙ্গীরের শরীরের ৯১ শতাংশ আগুনে পুড়ে গিয়েছিল।
দুদিন আগের ওই অগ্নি দুর্ঘটনায় দগ্ধ জাহাঙ্গীরের স্ত্রী ও মেয়েও বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন, তাদের অবস্থাও ভালো নয় বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
জাহাঙ্গীরদের বাসা আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায়। রোববার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে রান্না করতে গিয়ে চুলা জ্বালানোর সময় রান্নাঘরে জমে থাকা গ্যাসে বিস্ফোরণ হয়। তাতে বাসায় থাকা তিনজনই দগ্ধ হয়।
জাহাঙ্গীরের স্ত্রী বিউটির (২৮) শরীরে পোড়ার মাত্রা ৩৩ শতাংশ। আর তাদের ৫ বছর বয়সী মেয়ে তোয়ার শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
ডা. শাওন বলেন, “তাদের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। শ্বাসনালীও পুড়ে গেছে। এ কারণে সবার অবস্থাই সঙ্কটাপন্ন।”
হেমায়েতপুরের দগ্ধ ৬ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে
সাভারের হেমায়েতপুরে রোববার সন্ধ্যায় গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে লাগা আগুনে দগ্ধ শিশুসহ শিশুসহ সাতজনের মধ্যে ছয়জনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় তাদেরকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখান থেকে তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান বলেন, রোববার মধ্যরাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত সুজাত মোল্লা (২৬), হালিমা বেগম (৪২), জিসান (২০), শিল্পী আক্তার (৩৫, আমেনা বেগম (৬০) এবং সজীবকে (৭) বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
“তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের একজনের ৬০ শতাংশ, একজনের ৪১ শতাংশ এবং একজনের শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে।”
রোববার সন্ধ্যায় সাভারের হেমায়েতপুরের নালিয়াসুর এলাকার নায়েব আলীর একতলা বাড়ির একটি কক্ষে গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে ছড়িয়ে পড়া গ্যাসে আগুনে তারা দগ্ধ হন বলে প্রতিবেশীরা জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাড়ির মালিকের স্ত্রী আমেনা বেগম সন্ধ্যার আগে ঘরে তালা দিয়ে বাইরে যান। তখন পাশের ভাড়াটিয়ারা কক্ষের ভেতর থেকে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ টের পেয়ে আমেনা বেগমকে মোবাইল ফোনে জানান। আমেনা ফোনে কক্ষের দরজা ভেঙে ফেলতে বলেন। পরে প্রতিবেশীরা হাতুড়ি দিয়ে ভাঙা শুরু করেন। এর মধ্যে আমেনা বেগম চলে এসে চাবি দিয়ে তালা খুলতে না খুলতেই প্রতিবেশীদের হাতুড়ির আঘাতে লোহার দরজায় সৃষ্ট স্ফুলিঙ্গ থেকে আগুন লেগে মুহূর্তের মধ্যে তা চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
এতে এক শিশু ও তিন নারীসহ সাতজন দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দগ্ধ সাতজনের মধ্যে সোলাইমানকে (১৪) এনাম মেডেকেলেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।