Published : 25 Feb 2025, 04:35 PM
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীদের ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য ভুল প্রদর্শন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির কর্তৃপক্ষ বলছে, ভুল তথ্য প্রদর্শনের জন্য দায়ী- রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম কোম্পানি টেলিটক।
এ বিষয়ে পরীক্ষার্থী নৌশিন মাহবুবা লামিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি শাবিপ্রবির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষে একজন ভর্তি পরীক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে আমার মাধ্যমিকের ফলাফল ও বোর্ড ভুল দেখাচ্ছে। আমার মাধ্যমিকের প্রকৃত জিপিএ ৪ দশমিক ৮৯। অথচ ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে জিপিএ দেখাচ্ছে ৩ দশমিক ৭৫। একইসাথে আমার মাধ্যমিকের বোর্ড ময়মনসিংহ। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে দেখাচ্ছে মাদ্রাসা বোর্ড।
ময়মনসিংহ বোর্ডের মাহবুবা নামের এক ভর্তি পরীক্ষার্থীর ফলাফলে এমন অসামঞ্জস্যতা দেখা গেছে বলে জানান পরীক্ষার্থী নিজেই ।
তিনি বলেন, “আমি রেজাল্ট ও বোর্ডের সমস্যা নিয়ে ওয়েবসাইটের হটলাইনে কল দেই। হটলাইন থেকে রফিকুল ইসলাম নামে একজন স্যারের নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলা হয়। এরপর ওই স্যারকে বারবার কল দিলে তিনদিন পর তিনি আমার কল রিসিভ করেন।"
মাহবুবা আরও বলেন, “তিনি বলছে এটা টেকনিক্যাল সমস্যা। আমরা আপনার সমস্যা নিরসনে কাজ করছি। ”
এদিকে ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নাম্বার ৮০ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক জিপিএর উপর ২০ নাম্বার গণনা করা হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করা হয়।
যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পরীক্ষার্থীর জিপিএ ভুল দেখায়, তাহলে নিয়মানুযায়ী জিপিএর উপরও বরাদ্দকৃত ২০ নম্বরের মধ্যে পরীক্ষার্থীরা যথাযথ নাম্বার পাওয়ার থেকে বঞ্চিত হবে বলে অভিযোগ করেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।
এছাড়াও ক্যালকুলেটর ব্যবহারের বিষয়ে প্রবেশপত্রে পরিষ্কার নির্দেশনা নেই বলে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছেন বলে জানান একাধিক শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান অধ্যাপক মো. মাসুম বলেন, “টেলিটক আমাদের যে ডেটা দিচ্ছে, সেটাই আমাদের সাইটে দেখাচ্ছে। এখানে রেজাল্ট ভুল প্রদর্শনের দায়ভার আমাদের না। আমরা গতকাল এসব সমস্যা নিয়ে টেলিটক কর্তৃপক্ষকে নক দিয়েছি। তারা আজকে আমাদের আপডেটেড ডাটা দিয়েছে। আমাদের টিম এটা নিয়ে বসবে। তারপরও সমস্যা থাকলে আবার টেলিটক কোম্পানিকে নক দেওয়া হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “প্রতিদিন আমাদের কাছে হাজারের উপর কল ও ই-মেইল আসে। আমরা তো রোবট না যে, সবগুলোর উত্তর দেওয়া সম্ভব। তবে আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে পরীক্ষার্থীদের কল ও ই-মেইলের সাড়া দিচ্ছি।"
ক্যালকুলেটর ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, “বিভিন্ন কোম্পানির ক্যালকুলেটর ভিন্ন ভিন্ন ডাইমেনশন রয়েছে। পরীক্ষার্থীদের ক্যালকুলেটর ব্যবহারের বিষয়ে যে কনফিউশন ছিল, আমরা গতকাল পরীক্ষার্থীদের সেসব কনফিউশন দূরীকরণে পরিষ্কার নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি।”