“দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হলেও ঢিমেতালে চলছে।”
Published : 15 Apr 2024, 01:06 PM
ঈদুল ফিতর ও নববর্ষের ছুটির কারণে টানা পাঁচদিন বন্ধের পর সোমবার বেনাপোল স্থলবন্দর আবার সচল হয়েছে।
তবে বন্দরে পুরোপুরি কর্মচাঞ্চল্য ফিরতে আরও কয়েকদিন লাগবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
সোমবার সকাল থেকে বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে বলে বেনাপোল শুল্কভবনের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আজিজ খান জানিয়েছেন।
আজিজ বলেন, “ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পাঁচ দিন বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হলেও ঢিমেতালে চলছে।
“তবে ২/১ দিনের মধ্যে পুরোদমে কাজ শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।”
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, “দেশের ৭৫ ভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচামালের পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আসে এই বন্দর দিয়ে।
“আমদানিকারকরা গ্রামে ঈদ করতে যাওয়ায় এখনও ঢাকায় তাদের অফিস খোলেনি। তাই বন্দর থেকে পণ্য খালাসও তেমন নেওয়া হচ্ছে না।”
পুরোপুরি কাজ শুরু হতে আগামী শনি-রোববার লেগে যাবে বলে তিনি মনে করেন।
এদিকে ঈদের ছুটিতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে টানা পাঁচদিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় ওপারের পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় ট্রাক জটের সৃষ্টি হয়েছে ।
বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় শত শত পণ্যবাহী ট্রাক বন্দর এলাকা, বন্দরের ট্রাক টার্মিনাল, পেট্রাপোল পার্কিং ও বনগাঁ পার্কিংয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে বলে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান।
এদিকে বেনাপোল বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৮৯১- এর সভাপতি জানে আলম বলছেন, “প্রচণ্ড গরমের কারণে হ্যান্ডলিং শ্রমিকরা স্বস্তিতে কাজ করতে পারছেন না।”
বেনাপোল বন্দর হ্যান্ডেলিং শ্রমিক ইউনিয়ন-৯২৫ এর সভাপতি রাজু উদ্দিন বলেন, “বৃষ্টির দেখা নেই, তাই প্রচণ্ড তাপদাহে শ্রমিকরা কাজ এগিয়ে নিতে পারছেন না ।”
বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম বলেন, “বন্দরে পণ্যজট কমাতে দ্রুত পণ্য খালাসের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
“তবে প্রচণ্ড গরমে বন্দরের অভ্যন্তরে এবং ওপেন ইয়ার্ডে হ্যান্ডলিং শ্রমিকরা কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছেন।”