যাবজ্জীবনের পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা দিয়েছেন বিচারক।
Published : 23 Mar 2025, 06:04 PM
কুষ্টিয়া মিরপুর থানার একটি হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ নয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
রোববার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ছুমিয়া খানমের আদালত দণ্ডিত নয়জনের মধ্যে সাতজনের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার সিরাজুল ইসলাম জানান।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- মিরপুর উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মাহবুবুল হক ওরফে বুলু বিশ্বাসের ছেলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মিলন (৫৫), জুলমত আলীর ছেলে (পলাতক) জসিম উদ্দিন ওরফে বুড়ো (৫০), গারেশ মণ্ডলের ছেলে কশাই ফজলু (৫০), ডাক্তার ইলিয়াছ আলী ওরফে খেদ আলীর ছেলে একলাছ আলী (৪৫), বিল্লাল হোসেনের ছেলে মুরাদ আলী (৪১), আছান আলীর ছেলে মাহবুল হোসেন (৩৫), বাবর আলীর ছেলে রাশেদুল ইসলাম (৩৭), রবিউল ইসলামের ছেলে ওয়াসিম হোসেন (৩২) ও মসলেম মণ্ডলের ছেলে (পলাতক) রফিকুল ইসলাম (৫২)।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারি দুপুরে মিরপুর উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল আজিজের বড় ছেলে পল্লী চিকিৎসক মো. লুৎফর রহমান ওরফে সাবু নিজ বাড়ি থেকে পাশের আলামডাঙ্গা উপজেলা যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথে আমবাড়িয়া ইউনিয়ন কবরস্থানের প্রধানে ফটকের সামনে দুর্বত্তরা তার পথরোধ করে। পরে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করে রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই লুৎফরের মৃত্যু হয়।
“এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই হাবিবুর রহমান হাবিব বাদি হয়ে জাসদ নেতা তৎকালীন আমবাাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মিলনসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।”
তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর মিরপুর থানার পরিদর্শক আব্দুল আলীম ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে আদালত এ মামলার বিচারকাজ শুরু করে বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার সিরাজুল ইসলাম জানান।
তিনি বলেন, “কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার আমবাড়িয়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক হত্যা মামলায় জড়িত আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের স্বাক্ষ্য শুনানি শেষে সন্দেহাতীত প্রমানিত হওয়ায় ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে পৃথকভাবে ২০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছেন বিচারক। অনাদায়ে তাদের আরও ছয় মাসের সাজাভোগ করতে হবে।
“একইসঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে পৃথকভাবে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার্জশিটভুক্ত পরশ আলীকে খালাস দেওয়া হয়েছে।”