মানুষ খুব সহজেই ঢাকা থেকে কুমিল্লা এবং চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লায় এসে পৌঁছাচ্ছেন।
Published : 13 Jun 2024, 10:37 PM
দরজায় কড়া নাড়ছে কোরবানির ঈদ। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ঢাকা ছাড়ছেন ঘরমুখো মানুষ। ঈদযাত্রার শুরুতেই ভোগান্তি ছাড়াই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ধরে কুমিল্লায় পৌঁছাচ্ছেন যাত্রী ও পরিবহন চালকরা।
গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকা পড়েছে কুমিল্লা জেলায়।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সরেজমিনে ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের কোথাও যানজট নেই। মানুষ খুব সহজেই ঢাকা থেকে কুমিল্লা এবং চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লায় এসে পৌঁছাচ্ছেন।
মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার এলাকায় হুমায়ুন কবির নামে এক যাত্রী বলেন, “ঈদযাত্রার শুরুতেই স্বস্তিতে ঢাকা থেকে কুমিল্লা ফিরেছি। মাত্র ২ ঘণ্টা লেগেছে যাত্রাবাড়ি থেকে কুমিল্লায় আসতে। মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতা ভালো লেগেছে। এমন পরিস্থিতি থাকলে মানুষ কোনো কষ্ট ছাড়াই বাড়িতে এসে ঈদ করতে পারবে।”
কুমিল্লা নগরীর জাঙ্গালিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা থেকে আসা মিয়ামি এয়ারকন বাসের যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, “পরিবার নিয়ে ঈদ করতে গ্রামে যাচ্ছি। সড়কে কোনো যানজট নেই। সব মিলিয়ে আড়াই ঘণ্টায় কুমিল্লায় এসে নামলাম।”
চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লায় আসা প্রিন্স সৌদিয়া বাসের যাত্রী খায়রুল ইসলাম বলেন, “চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লায় আসার পথে কোথাও যানজট দেখা যায়নি। খুব কম সময়ে কুমিল্লায় এসে পৌঁছালাম। মহাসড়কে গাড়ির চাপ কম দেখেছি।”
ঢাকা থেকে কুমিল্লায় আসা একটি পরিবহনের বাসচালক কবির হোসেন বলেন, “আমাদের এসি বাস। ভাড়া আগের মতো ৩৫০ টাকা নেওয়া হয়েছে। ঢাকা থেকে ফেরার পথে রাস্তা একদম ফাঁকা। আজকে দিনভর গাড়ির চাপ কম। স্বল্প সময়ে কুমিল্লায় আসতে পেরে যাত্রীদের মতো আমাদেরও ভালো লাগছে।”
হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপারের পদে থাকা অতিরিক্ত ডিআইজি খাইরুল আলম বলেন, “রোজার ঈদের মতোই পরিকল্পনামাফিক মহাসড়ককে যানজটমুক্ত রাখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মানুষ যেন নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারে সেজন্য হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ ও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
“এরই মধ্যে ঈদযাত্রা শুরু হয়ে গেছে। মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। কোথাও কোনো সমস্যা বা দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে যানচলাচল স্বাভাবিক রাখার ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। আশা করি, প্রতিবারের মতো এবারের ঈদযাত্রাও স্বস্তিদায়ক হবে।”