জোড়া খুনে স্থানীয় লোকজন ও নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Published : 21 Oct 2023, 12:44 AM
গাজীপুর মহানগরীতে দুই ভাইকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তাদের এক বন্ধুকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে নগরীর বাঙ্গালগাছ বাঁশপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে সদর মেট্রো থানার ওসি জিয়াউল হক জানান।
এ ঘটনার পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঘটনার পর পরই এলাকার ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে চলে গেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মহিষকুরা গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে মো. শফিকুল ইসলাম (৩২) এবং তার ছোট ভাই মো. শুক্কুর আলী (২৮)।
তারা নগরীর ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভুরুলিয়া এলাকার আব্দুল রশিদের বাড়ির ভাড়াটিয়া। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। মারামারির একটি মামলায় দুই ভাই সম্প্রতি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন বলে জানায় পুলিশ।
আটক যুবকের নাম রুবেল (৩০)। তার সম্পর্কে বিস্তারিত আর কিছু জানায়নি পুলিশ।
এ জোড়া খুনের ঘটনায় স্থানীয় লোকজন ও নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে। থানা পুলিশ, পিবিআই ও সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
নিহতদের বড় ভাই আমিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, শফিকুল বলাকা বাসের সহকারী ছিলেন। আর শুক্কুর ছিলেন অটোচালক। বাঙ্গালগাছ এলাকার হিমেল, সুমন ও রাসেল তার দুই ভাইয়ের কাছ থেকে কিছুদিন আগে ১০ হাজার টাকা ধার নেয়।
“আজ সেই টাকা দেওয়ার কথা ছিল। টাকা আনার জন্য অটোরিকশা করে শফিকুল ও শুক্কুর বাঙ্গালগাছ এলাকায় যায়। সেখানে পাওনাদারদের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখে”, যোগ করেন আমিরুল।
নিহত শফিকুলের স্ত্রী সুমাইয়া বলেন, “বাঙ্গালগাছ এলাকায় একজন দোকানদারের সঙ্গে টাকা-পয়সা নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। সেই দ্বন্দ্বের জেরে আমার স্বামী ও দেবরকে হত্যা করা হয়েছে।”
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী সাংবাদিকদের বলেন, “বেশ কয়েকটি অটোরিকশায় কিছু যুবক এসে দুটি দোকানে হামলা করে। এ সময় তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়। তখন আগন্তুকরা তাদের উপরও হামলা করে। তারপর লোকজন দুজনকে ধরে পিটুনি দেয়।”
সদর মেট্রো থানার ওসি জিয়াউল হক বলেন, “ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। কী কারণে করা দুই ভাইকে হত্যা করেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, নিহত দুইজন সন্ত্রাসী ছিলেন। সব বিষয় নিয়ে তদন্ত চলছে।
মরদেহের সুরতহাল তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে বলেও জানান ওসি।