প্রেমের টানে বাংলাদেশে, অবশেষে ফিরতে হলো ভারতীয় তরুণীর

দুই বছর আগে অনলাইনে গেম খেলতে খেলতে কুষ্টিয়ার এক তরুণের সঙ্গে ভারতীয় ওই তরুণীর পরিচয় হয়।

দুই দেশের সীমান্তে পতাকা বৈঠকের পর তরুণীকে ফেরত পাঠানো হয়

প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসার প্রায় ১০ মাস পর বাড়ি ফিরে গেলেন এক ভারতীয় তরুণী।

আইনি প্রক্রিয়া শেষে রোববার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা জয়নগর দিয়ে তাকে ফেরত পাঠানো হয় বলে ওই চেক পোস্টের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা আবু নাইম জানান।

১৭ বছর বয়সী এই তরুণী ভারতের নদীয়া জেলার রাধাকান্তপুর গ্রামের বাসিন্দা।

আদালত ও পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে পাওয়া নথির বরাতে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা আবু নাইম জানান, প্রায় দুই বছর আগে অনলাইনে গেম খেলতে খেলতে ভারতীয় নাগরিক এই তরুণী ও বাংলাদেশের কুষ্টিয়া সদরের আব্দুল হালিমের ছেলে ওমর আলীর পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

“২০২১ সালের ১৪ নভেম্বর সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে এসে কুষ্টিয়ায় ওমর আলীর বাড়ি চলে যান তিনি। পরে ধর্ম পরিবর্তন করে ওমর আলীকে বিয়ে করেন।”

আবু নাইম জানান, ২০২২ সালের ২১ মার্চ রাতে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট তাকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে। সে সময় বয়স কম থাকায় আদালত তাকে কুষ্টিয়ার সামাজিক, প্রতিবন্ধী ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখার নির্দেশ দেয়।

“নানা আইনি প্রক্রিয়া শেষে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে পতাকা বৈঠকের পর মেয়েটিকে তার দেশে ফেরত পাঠানো হয়।”

এ সময় বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনের ডেপুটি কনস্যুলার দেবব্রতি চক্রবর্তী, বিজিবির দর্শনা আইসিপি কমান্ডার নায়েব সুবেদার আব্দুল জলিল, কুষ্টিয়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহির উদ্দিন,

ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিএসএফের গেদে কোম্পানি কমান্ডার এসএ নগেন্দ্র হালদার, গেদে ইমিগ্রেশন ইনচার্জ সন্দীপ তেওয়ারি, নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানার পরিদর্শক বাপিন মুখার্জি, গেদে কাস্টমস সুপার অজয় নারায়ণ রায়, কাস্টমস ইন্সপেক্টর প্রশান্ত কুমার ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।