মেহেরুন্নিছার অভিযোগ, কোনো কর্মী তাদের বাড়ি আসতে পারছেন না; কাজের লোকও আসতে পারছেন না।
Published : 29 Jan 2023, 09:51 PM
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসনের উপ-নির্বাচনের প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদের স্ত্রী মেহেরুন্নিছাকে সাদা পোশাকধারী লোকজন দিয়ে ‘নজরবন্দি’ রাখার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার সন্ধ্যায় মেহেরুন্নিছা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ কথা বলেন।
এর আগে মেহেরুন্নিছা অভিযোগ করেছেন, গত শুক্রবার রাত থেকে তার স্বামী আসিফকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপ-নির্বাচনের প্রার্থী 'নিখোঁজ'
আবু আসিফ আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আব্দুস সাত্তারের বিপরীতে আসিফকেই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা।
তবে সাত্তারের জন্য প্রকাশ্যে মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা। সরাইল ও আশুগঞ্জে সাত্তারের প্রচারণায় অংশ নিয়ে ভোট চাইছেন তারা।
মেহেরুন্নিসা রোববার সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাকে আমার বাসার সামনে নজরবন্দি করে রাখা হয়েছে। সাদা পোশাকধারী লোকজন আমার বাসায় সামনে যে-ই আসে ভিডিও করে রাখে। আমার কোনো কর্মী আসতে পারছে না। আমার কাজের লোক পর্যন্ত আসতে পারছে না।”
তিনি বলেন, “আমাদের কোনো এজেন্ট দেওয়া যাবে না। তাদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে তল্লাশি করে হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় আমরা কীভাবে নির্বাচন করব! তাহেলে এ নির্বাচনটার কী প্রয়োজন ছিল? মানুষ ভোট দেয় উৎসবমুখর পরিবেশে, আর এখানে আমরা আতংকের মধ্যে আছি। আমার সাথে কেউ আসতে পারছে না, আমি কোথাও যেতে পারছি না। এভাবে নজরবন্দি আছি।”
এর আগে আসিফ অভিযোগ করেছিলেন, গত ২৫ জানুয়ারি রাত থেকে তার শ্যালক ও নির্বাচন পরিচালকারী কমিটির প্রধান সমন্বয় শাফায়েত হোসেন (৩৮) ‘নিখোঁজ’ রয়েছেন। এখনও তার কোনো সন্ধান মেলেনি।
এ ছাড়া ২৫ জানুয়ারি মধ্যরাতে পুলিশ আসিফের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মুসা মিয়াকে (৮০) একটি মারামারির মামলায় গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপ-নির্বাচন: স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফের এজেন্ট গ্রেপ্তার
অভিযোগ সম্পর্কে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুলিশ কখনোই তার (আবু আসিফ) বাড়িতে যায়নি। এখনও নেই। তিনি নিখোঁজ আছেন কিনা সে বিষয়েও আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। আমাদের কাছে কোনো অভিযোগও করেনি।”
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আব্দুস সাত্তার ভূইয়া। তবে গত বছরের ডিসেম্বরে দলের সিদ্ধান্তে সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। পরবর্তীতে দলের চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে নিজের ছেড়ে দেওয়া আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র পদে লড়তে মনোনয়ন ফরম নেন সাত্তার। এরপর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি।
আরও পড়ুন