মামলার পর শনিবার চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানান।
Published : 02 Nov 2024, 09:15 PM
সরকারি পুকুরের দখল নিতে জয়পুরহাট সদর উপজেলায় একটি গ্রামে জেলেদের পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলাকারীদের বাধা দিতে গিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত আট নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন।
উপজেলার পশ্চিম পেঁচুলিয়া গ্রামে শুক্রবার এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাতে সুভাষ বর্মন এ নিয়ে মামলার পর শনিবার চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জয়পুরহাট পুলিশ সুপার মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব জানান।
আহতরা হলেন- পশ্চিম পেঁচুলিয়া কোচ পাড়া গ্রামের শংকর বর্মনের স্ত্রী পবিত্রা রানী বর্মন (৩২), উত্তম বর্মনের ছেলে মিঠুন বর্মন (২৫), উত্তম বর্মনের স্ত্রী বিজলী রানী বর্মন (৫০), ললিত বর্মনের ছেলে ছোট বাবু বর্মন (৫২), রঞ্জিত বর্মনের স্ত্রী অর্চনা বর্মন (৩২) ও অজিত বর্মনের স্ত্রী ভারতী রানী (৫২)। তারা জয়পুরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ছাড়া প্রতিপক্ষের জিতারপুর গ্রামের আব্দুস সামাদ (৬০) ও গোলাম মওলা (৫২) আহত হয়েছেন। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- পেঁচুলিয়া পলাশতলী গ্রামের গোলাম রব্বানী (৫০), গোলাম মাওলা (৪৮), জিতারপুর গ্রামের মোতাহার হোসেন (৫৩) এবং পেঁচুলিয়া পলাশতলী গ্রামের জামিউল (১৭)।
পুলিশ সুপার বলেন, “মৎস্য সমিতির নামে লিজ নিয়ে দীর্ঘদিন দুই একর আয়তনের কোঁচপুকুরে মাছ চাষ করছেন পেঁচুলিয়া গ্রামের রাজেন বর্মন ও তার লোকজন। পাশের জিতারপুর গ্রামের মাওলা, রব্বানী ও ছালামের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন ইজারা নিয়েছেন দাবি করে পুকুরটি দখলে নিতে যান। তারা পুকুরে মাছের পোনা ছাড়েন এবং পাড়ের বাঁশ কাটতে থাকেন।
“এ অবস্থায় রাজেন বর্মন ও গ্রামের লোকজন বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তখন উভয় পক্ষের আটজন আহত হয়েছেন।”
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছোট বাবু বর্মন অভিযোগ করে বলেন, তারা দরিদ্র মৎস্যজীবী। প্রকৃত মৎস্যজীবী হিসেবেই সরকারি ওই পুকুরটি ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করে জীবনযাপন করছেন। ইজারার মেয়াদ মাত্র কিছু দিন আগে শেষ হয়েছে। কিন্তু তাদের ছাড়া মাছ এখনও পুকুরে রয়েছে। এই অবস্থায় তারা আবার পুকুর ইজারা নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।
পবিত্রা রানী বর্মন বলেন, “এর মধ্যে শুক্রবার প্রতিপক্ষের প্রভাবশালীরা পুকুরটি ইজারা নিয়েছেন বলে জানান। তারা জোর করে পুকুর দখলে নিতে আসে। এ সময় আমরা বাধা দেই। তখন আমাদের বেদম মারপিট করে।”
ঘটনার পর থেকেই প্রতিপক্ষের লোকজন পলাতক রয়েছেন। ফলে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।