পোপ ফ্রান্সিসের ইচ্ছা অনুযায়ী, ইতালির রাজধানীর সান্তা মারিয়া মাজোরে গির্জাই হবে তার শেষ বিশ্রামস্থল।
Published : 26 Apr 2025, 06:33 PM
ভ্যাটিকানের সেইন্ট পিটার’স চত্বরে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পর তার কফিন রোমের সান্তা মারিয়া মাজোরে ব্যাসিলিকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পোপের ইচ্ছা অনুযায়ী, ইতালির রাজধানীর এই সান্তা মারিয়া মাজোরে গির্জাই হবে তার শেষ বিশ্রামস্থল।
বিবিসি জানিয়েছে, এখানে একান্তে একটি সংক্ষিপ্ত প্রার্থনাসভা অনুষ্ঠিত হবে, তবে তা টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হবে না। তবে কিছু মানুষজন গির্জাটির ভেতরে জড়ো হয়েছেন।
এর আগে ভ্যাটিকান জানিয়েছে, রোববার সকাল থেকে লোকজন ফ্রান্সিসের সমাধি পরিদর্শন করতে পারবেন।
আর্জেন্টিনায় জন্ম নেওয়া ফ্রান্সিস ৮৮ বছর বয়সে গত সপ্তাহে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুর পরপরই প্রায় দেড়শ কোটি অনুসারীর ক্যাথলিক চার্চ পোপ বিদায়ের প্রাচীন রীতি ও আনুষ্ঠানিকতা শুরু করে।
শ্রদ্ধা জানাতে বুধবার সকাল থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পোপের মরদেহ ষোড়শ শতাব্দীতে নির্মিত সেইন্ট পিটার’স ব্যাসিলিকায় শায়িত রাখা হয়। এই সময়ের মধ্যে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছেন বলে জানিয়েছে ভ্যাটিকান।
তারপর শনিবার সেইন্ট পিটার’স চত্বরে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার প্রার্থনাসভা শুরু হয়। এই প্রার্থনাসভা শেষ হওয়ার পর একটি বিশেষ গাড়িতে করে পোপের কফিন সান্তা মারিয়া মাজোরে গির্জায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ভ্যাটিকান জানিয়েছে, ইতালির রাজধানীর রাজপথ দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় পোপের কফিনের মিছিল দেখতে প্রায় দেড় লাখ মানুষ রাস্তার পাশে জড়ো হয়েছিলেন।
এর আগে সেইন্ট পিটার্স চত্বরে পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানে আড়াই লাখ মানুষ হাজির হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে তারা।
কার্ডিনাল চেম্বারলেইন কেভিন জোসেফ ফারেলের নেতৃত্বে পোপকে সমাহিত করার আনুষ্ঠানিকতা স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় শেষ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শনিবার থেকে নোভেমডায়ালস নামের নয় দিনের শোকের সময়কাল শুরু হবে। এ সময় প্রতিদিন ফ্রান্সিসের স্মরণে একটি করে প্রার্থনাসভা অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর তীর্থযাত্রী ও শোকার্ত মানুষজন রয়ে গেলেও অনেক বিদেশি নেতা রোম ছাড়বেন। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পসহ কয়েকজন নেতা রোম ছেড়ে গেছেন।
১০০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে এই প্রথম কোনো পোপকে ভ্যাটিকানের বাইরে সমাহিত করা হচ্ছে। এর আগে ১৯০৩ সালে পোপ ত্রয়োদশ লিও-কে ভ্যাটিকানের বাইরে সমাহিত করা হয়েছিল। ফ্রান্সিস যখনই বিদেশ সফর শেষে রোমে ফিরতেন তিনি সবমসয় সান্তা মারিয়া মাজোরে গির্জা পরিদর্শন করতেন।
ফ্রান্সিস কুমারি ম্যারির প্রতি বিশেষভাবে অনুরক্ত ছিলেন আর চতুর্থ শতকে নির্মিত সান্তা মারিয়া মাজোরে তাকে উৎসর্গ করা প্রথম গির্জা।
আরও পড়ুন: