গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিন শুক্রবার জুমার নামাজে অংশ নিতে মানুষের ঢল নেমেছে।
ইজতেমার পাশাপাশি জুমার নামাজের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মানুষে বৃহস্পতিবার রাতেই ইজতেমা ময়দান পূর্ণ হয়ে যায়।
তুরাগ তীরের বিশাল ময়দানে মূল সামিয়ানার নিচে স্থান না পেয়ে অনেকেই কামারপাড়া সড়কের পাশে ফুটপাতে পলিথিন টানিয়ে তার নিচে অবস্থান নেন।
এ ছাড়া শুক্রবার সকাল থেকেও মানুষ পায়ে হেঁটে ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেন। তারাও আশপাশের মহাসড়কে যে যেখানে পেরেছেন সেখানে অবস্থান নিয়েছেন।
শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভী এ জুমার নামাজে ইমামতি করবেন।
জুমার এই জামাতে অংশ নিতে খুব ভোরে রওনা দিয়েছেন গাজীপুরের কাপাসিয়ার বাসিন্দা মো. আল আমিন।
তিনি বলেন, “আমি প্রতিবছরই ইজতেমায় আসতাম। আগে চাকরি ছিল না। এখন একটি কারখানায় চাকরি করি। ছুটি চেয়ে পাইনি, তাই ইজতেমায় আসতে পারিনি। আজকে শুক্রবার ছুটির দিন, তাই সারাদিনই ইজতেমায় কাটাব, জুমার নামাজ পড়ব লাখো মানুষের সাথে।”
উত্তরার বাসিন্দা আশরাফুল ইসলামও এসেছেন জুমার নামাজে অংশ নিতে। তিনি বলেন, “আমার কাছে কোন ভেদাভেদ নাই, প্রথম পর্ব দ্বিতীয় পর্ব নাই। সন্তানকে ইজতেমা, ইসলাম বুঝাতেই নামাজের অনেক আগেই চলে এসেছি।”
এর আগে শুক্রবার বাদ ফজর থেকে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের নিয়ে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে।
বুধবার ইজতেমার মাঠ বুঝে নেয়ার পরপরই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ইজতেমা মাঠে আসতে শুরু করে। তারা ময়দানে নির্দিষ্ট খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন। তাতে ইজতেমা ময়দান কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে।
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-
ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে এক বৃদ্ধের মৃত্যু