পরিবারের দাবি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, তবে উপজেলা চেয়ারম্যান বলছেন পারিবারিক কোন্দলের জেরে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
Published : 22 Jun 2024, 01:55 AM
পাবনার সুজানগর উপজেলায় পূর্ব বিরোধের জেরে কুপিয়ে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে উপজেলায় রানীনগর গ্রামে ওই যুবককে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে সন্ধ্যার দিকে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু ঘটে বলে সুজানগর সার্কেলের জেষ্ঠ্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল করিম।
নিহত আলামিন হোসেন (৩৫) উপজেলার আমিনপুর থানার ওই গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, আলামিন মোটরসাইকেল নিয়ে পাশের বাদাই গ্রামে একটি দাওয়াতে অংশ নিয়ে ফিরছিলেন। পথে রানীনগর ক্লাবের সামনে এলে শাহজাহান বিশ্বাসের ছেলে শামীম, ইকবাল, আলম ও শিমুলসহ কয়েকজনের একটি দল তার গতিরোধ করে।
এরপর চাপাতিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়।
স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়া চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে রাজশাহী মেডিকেলে নেবার পথে সন্ধ্যার দিকে তার মৃত্যু ঘটে।
নিহতের চাচাতো ভাই হাফিজুর রহমান টিপু অভিযোগ করে বলেন, “শামীম ও শিমুলসহ যারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তারা রানীনগর ইউপি চেয়ারম্যান পিযুশের ক্যাডার বাহিনী। এরা বিজয়ী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল ওহাবের সমর্থক।
“উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহিনের ভোট করে হেরে যাওয়ার পর থেকেই আলামিনসহ আমাদের পরিবারের লোকদের তারা মারার চেষ্টা করছে। এর জেরে পরিকল্পিতভাবে মোটরসাইকেল থামিয়ে আলামিনকে হত্যা করেছে।”
প্রকাশ্য দিবালোকে এমন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানান তিনি।
তবে একে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা নয় দাবি করে সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব বলেন, “রাজনৈতিক হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে উপজেলায় ঘটে যাওয়া যেকোনো ঘটনাকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “আলামিন হত্যার ঘটনাটি পারিবারিক কোন্দলের জেরে ঘটেছে। খড় শুকানোকে কেন্দ্র করে ওই দুই পক্ষের মাঝে এর আগেও ঝামেলা হয়েছে। এ নিয়ে সম্ভবত মামলাও হয়েছে। সেটির জেরেই আলামিনকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এটি কোনোভাবেই নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ঘটনা নয় “
পুলিশ কর্মকর্তা রবিউল বলেন, “আলামিনকে মারধর ও হত্যার ঘটনা কোন বিষয়কে কেন্দ্র করে সেটি তদন্ত চলছে, পরে বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। “