রোববার রাতে ছাত্রদলের ধর্ষণবিরোধী মশাল মিছিল শেষে ফেরার পথে একজনকে ছুরিকাঘাতে করা হয় বলে জানায় পুলিশ।
Published : 10 Mar 2025, 01:42 PM
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় ছুরিকাঘাতে ছাত্রদলের এক কর্মী খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে জনতা।
রোববার রাতে সোয়া ১০টার দিকে শহরের চাষাঢ়ায় শহীদ মিনারের পাশে ভাষা সৈনিক সড়কে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ নাসির আহমদ।
নিহত মো. অপূর্ব (২৫) নগরের মাসদাইর এলাকার মোহাম্মদ খোকনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন পোশাক শ্রমিক ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে অপূর্বকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছে ছাত্রদল।
আটক সম্রাট হোসেন (২০) শহরের গলাচিপা এলাকার মো. হোসেনের ছেলে। তিনি ভাষা সৈনিক সড়কের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করেন। আটকের সময় তার কাছ থেকে একটি ছুরি উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় সোমবার সকালে অপূর্বের বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। পরে সেই মামলায় সম্রাটকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আজিজুল ইসলাম রাজীব বলেন, রোববার রাতে মাসদাইর এলাকা থেকে ধর্ষণবিরোধী মশাল মিছিল বের করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি শেষ হওয়ার সময় পেছন থেকে আপত্তিকর মন্তব্য করেন সম্রাট। এ নিয়ে সম্রাটের সঙ্গে অপূর্ব ও তার সহকর্মীদের কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
“এ সময় একজন অপূর্বের বুকে ছুরিকাঘাত করেন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। ঘটনার পর পর ছাত্রদলের কর্মীরা সম্রাট ও তার সঙ্গে থাকা আরেক ব্যক্তিকে মারধর করেন। তবে অপর ব্যক্তি পালিয়ে গেলেও সম্রাটকে পুলিশে দেওয়া হয়।”
নিহত অপূর্বকে ছাত্রদলের কর্মী বলে দাবি করেছেন ছাত্রদলের সাবেই এই নেতা।
এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতেই হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করেছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তারা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচার দাবি করেন।
ওসি নাসির আহমদ বলেন, “মিছিল নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক হয়। এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। পরে আহতকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”
“এ ঘটনায় আটক যুবকের কাছ থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত চলছে।”