“বোরো আবাদের অঞ্চল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ছাড়া সব জায়গায় সমানভাবে লোড শেডিং হচ্ছে।”
Published : 24 Apr 2024, 09:38 PM
তাপপ্রবাহ কমলে লোড শেডিং কমে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেছেন, “চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম থাকার কারণে লোড শেডিং হচ্ছে। তবে তাপপ্রবাহ কমে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
“বোরো আবাদের অঞ্চল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ছাড়া সব জায়গায় সমানভাবে লোড শেডিং হচ্ছে।”
বুধবার দুপুরে জামালপুরের ইসলামপুরে যমুনা নদীতে জেগে উঠা চরে সৌর বিদ্যুতের প্ল্যান্ট স্থাপনের জায়গা পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশজুড়ে টানা তাপপ্রবাহের মধ্যে গত কয়েক দিন বিভিন্ন স্থানে দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করছে। ঈদের ছুটির পর একদিকে গরম, অন্যদিকে শিল্প-কারখানার চাহিদা বাড়ার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। এতে লোড শেডিংও বেড়েছে।
এর মধ্যেই সোমবার রাত ৯টার দিকে ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার তথ্য দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এটাই বিদ্যুতের সর্বোচ্চ উৎপাদন।
তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ উৎপাদন যখন ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াটের মাইলফলক স্পর্শ করেছে তখনও দেশের বিভিন্ন স্থানে ৪৪৬ মেগাওয়াট লোড শেডিং চলছিল। কারণ ওই সময়ে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৬ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট।
জেলা, উপজেলা ও গ্রাম পর্যায়ের গ্রাহকরা প্রতিদিন গড়ে প্রায় আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেছেন।
বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে যমুনার বুকে জেগে উঠা প্রায় ২০ হাজার একর জমিতে সৌর বিদ্যুতের প্ল্যান্ট তৈরি করার কথা ভাবছে বিদ্যুৎ বিভাগ। যেখান থেকে প্রায় ৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতে পারে।
যমুনার চরের মধ্যে সৌর বিদ্যুতের প্ল্যান্ট স্থাপন হলে আগামীতে লোড শেডিং কমবে বলে আশা করেন জ্যেষ্ঠ সচিব।
এ সময় বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান অজয় কুমার চক্রবর্তী, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।