বেলা দেড়টায় আন্দোলনকারীরা কলেজ ক্যাম্পাস ত্যাগ করে।
Published : 17 Jul 2024, 05:12 PM
জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।
বুধবার সকাল থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসে জড়ো হয় বলে জামালপুর সদর থানার ওসি মুহাম্মদ মহব্বত কবীর জানান।
একই সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পাল্টা অবস্থান নিলে হলে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা সাড়ে ১১টায় কোটা আন্দোলনকারীরা শহরের মির্জা আজম চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শেখের ভিটা রেলক্রসিং-এ ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেন আটক করে। এ সময় ট্রেনে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
প্রায় আধা ঘণ্টা পর আন্দোলনকারীরা সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ ক্যাম্পাসে গেলে প্রথমে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া করে। এ সময় অন্তত ১০ জন আহত হয়। ওইসময় একটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পায় শিক্ষার্থীরা।
পরে আন্দোলনকারীরা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে ছাত্রলীগের ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী কলেজের তৃতীয় তলায় একটি কক্ষে অবস্থান করে। তখন কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা। এ সময় কোটা বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয় তারা।
পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জামালপুর শহরের গেইটপাশ এলাকায় জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ এবং জামালপুর-সরিয়াবাড়ি রেললাইনে অবস্থান নেয়। পরে তারা রেললাইনে ওপরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি, কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান নিলে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে কলেজ রোডে ছাত্রলীগ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবিরুল ইসলামের খান বাবুর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে মিটিংয়ে আছি বলে কেটে দেন তিনি।
ওসি মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বেলা দেড়টায় আন্দোলনকারীরা কলেজ ক্যাম্পাস ত্যাগ করে।