শিক্ষার্থীরা বলেন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এসব দাবি পূরণ করতে হবে। নাহলে আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
Published : 02 Sep 2024, 01:36 AM
হবিগঞ্জে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে আট দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অস্থায়ী ক্যাম্পাস জেলা সদর ২৫০ শষ্যা হাসপাতালের সামনে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তব্য দেন শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত রিংক, কাওসার আহমেদ, সৈয়দা তানজিম সূচী।
শিক্ষার্থীদের আট দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-
শিক্ষার্থীরা বলেন, ১. প্রতিটি ব্যাচের জন্য পরিপূর্ণ সুযোগ-সুবিধাসহ ক্লাসরুমের ব্যবস্থা করতে হবে। স্থায়ী ক্যাম্পাসের রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের সামনে তা উপস্থাপন করতে হবে। ২. মেডিকেল কলেজে অধ্যনরত প্রত্যেকের জন্য আবাসন ব্যবস্থা করতে হবে। মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৩. মেডিকেল কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে নোটিশ প্রদান করতে হবে। ৪. মেডিকেল কলেজের প্রতিটি বিভাগে পর্যাপ্ত পরিমাণ শিক্ষক নিয়োগের জন্য জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। মেডিকেল কলেজের শিক্ষকের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। ৫. ভবনের সপ্তম তলায় অপারেশন থিয়েটার, পোস্ট অপারেটিভ কেয়ারের কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় ভিসেরা, ক্যাডেভার ও ক্লিনিক্যাল ক্লাসের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডামি হালনাগাদ করতে হবে।
৬. মেডিকেল কলেজের বিগত দুই অর্থবছরের বাজেট শিক্ষার্থীদের সামনে প্রকাশ করতে হবে। এ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের থেকে নামে-বেনামে যত ভর্তি ফি, পরীক্ষা ফি নেওয়া হয়েছে তার হিসেব প্রকাশ করতে হবে। ৭. প্রতিটি শিক্ষার্থীর ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। ধর্মীয় স্বাধীনতায় ব্যাঘাত সৃষ্টিকারীদের বিপক্ষে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক কেবিনের ব্যবস্থা করতে হবে। ৮. কলেজকে স্থায়ী ক্যাম্পাসে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে হবে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এসব দাবি পূরণ করতে হবে। নাহলে আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
তারা বলেন, ছয়টি সেশনের জন্য কলেজে মাত্র চারটি ক্লাস রুম রয়েছে। যার ফলে ক্লাস নিতে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। প্রথম সেশনে ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করার কথা থাকলেও বিগত সেশনে ১০০ জন ভর্তি করা হয়েছে।
২০১৫ সালে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়। একই বছর শিক্ষার্থী ভর্তির প্রশাসনিক অনুমোদনও পায়। কিন্তু একাডেমিক ভবন নির্ধারণ না হওয়ায় সে বছর শিক্ষার্থী ভর্তি করা সম্ভব হয়নি।
শেষ পর্যন্ত অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা নির্ধারণ হলে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ৫১ জন শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে মেডিকেল কলেজটির যাত্রা শুরু হয়।